বিশেষ প্রতিনিধি।।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে আয়োজিত গণসমাবেশ সফল করতে স্থানীয় টাউন হল মাঠের দখল নিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে তারা মাঠ প্রস্তুতের কাজও শুরু করেছেন। দুপুর ২টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ সমাবেশে বাধা দেয়নি। বরং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
এদিকে বিএনপি দীর্ঘ ৯ বছর পর যশোরে প্রকাশ্যে বড় ধরনের কোনো জমায়েত করতে যাচ্ছে। ফলে এ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ-উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ফলে আজকের সমাবেশে কে কেন্দ্র করে যশোরের বিভিন্ন রাস্তায় পয়েন্টে পয়েন্টে বিএনপির নেতা কর্মীরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও গাড়িচলাচলে বাঁধা দিচ্ছে পুলিশ। আমাদের মাগুরা প্রতিনিধি জানান মাগুরার মগি ইউনিয়নে যুবনেতা ফিরোজ আহম্মেদের নেতৃত্বে সিমাখালী বাজারে একটি গাড়ি পৌছালে তা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট।

এদিকে গণসমাবেশে আয়োজনের জন্য জেলা বিএনপি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে সমাবেশস্থল হিসেবে তিনটি বিকল্প মাঠের প্রস্তাব দেয়। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণসমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে বিএনপিকে কিছু জানানো হয়নি। বরং এদিন সন্ধ্যার পর থেকে টাউনহল মাঠসহ শহরজুড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। বুধবার ভোর থেকে বিভিন্ন উপজেলা হতে আসা দলটির নেতাকর্মীরা টাউনহল মাঠে ঢুকতে চাইলে পড়েন পুলিশি বাধার মুখে।
মণিরামপুর থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম বলেন, দুপুর ২টায় সমাবেশ হলেও তারা সকাল ৭টায় যশোরে পৌঁছান। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে টাউনহল মাঠে প্রবেশ করতে দেয়নি। একই অভিযোগ করেন ঝিকরগাছার যুবদলকর্মী সুজন মিয়া।
এদিকে সকাল পৌনে ৯টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে মিছিল সহকারে টাউনহল মাঠে ঢুকে পড়েন। তারা মাঠের দখল নিয়ে মঞ্চ ও মাইক সংযোগের কাজ শুরু করেন। তবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে তাদের ইতিবাচক যোগাযোগ চলছিল। তার ফলশ্রুতিতে অনুমতি সাপেক্ষেই বিএনপি সমাবেশ করছে।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফায় ৩২ জেলায় এ গণসমাবেশ হতে যাচ্ছে। আজ খুলনা বিভাগে কেবলমাত্র যশোর জেলাতেই এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: