মনিরামপুরে প্রতিকুল অবস্থা সত্ত্বেও বিএনপি প্রার্থীর মাঠ না ছাড়ার পুনর্ব্যক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২১ ১৪:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২১ ১৪:৫৫

ছবি সমসাময়িক
  স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারনার শেষপর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন ধানেরশীষ প্রতীকের গনজোয়ার দেখে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে তার কর্মী সমর্থকদের প্রতি সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ধারাবাহিক হামলা, মারপিট, ভাংচুর, হুমকি-ধামকি প্রদর্শনসহ সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। অথচ এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারসহ প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর এ কারনে তিনি ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতি কেন্দ্রে নুন্যতম একজন ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের দাবি জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শহীদ ইকবাল জানান,ধারাবাহিক হামলা ভাংচুর মারপিট হুমকি-ধামকি সত্ত্বেও ভোটের মাঠ না ছাড়ার অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন। লিখিত বক্তব্যে ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ ইকবাল হোসেন আরো অভিযোগ করেন, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই আচরনবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে তার ছেলে কাজী মাহমুদ পারভেজ শুভ এবং ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পোষ্টার ছেড়া, প্রচার মাইক ভাংচুর, বাঁধা, হামলা চালিয়ে মোহনপুরে তার কর্মী ফিরোজ, জাফর, কামালপুরের শহিদ, রওশন, হকোবার ইমরান, মহাদেবপুরের আলতাফ, জয়নগরের আব্দুল্লাহসহ প্রায় শতাধিক কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুর বাসভবন।এছাড়াও জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিন্টু, নিস্তার ফারুক, আইয়ুব হোসেন, রিনা খাতুনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। তিনি অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ছেলে শুভ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের ভোটের মাঠে না আসার জন্য হুমকি-ধামকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারসহ প্রশাসনের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ করে তিনি কোন প্রতিকার না পাবার দাবি করেন। ফলে অবাধ নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতি কেন্দ্রে নুন্যতম একজন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবদুল হাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু প্রমুখ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: