
মোঃ শাহ্ জালাল॥
যশোরের মনিরামপুরে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় ইট ভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় গতকাল। ভাটার মাটি ট্রাকে বহনের সময় পিচের রাস্তায় মাটি ফেলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ সময় দুটি ইটভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলার ৪২টি ভাটা মালিককে এর আগে রাস্তায় মাটি না ফেলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
মনিরামপুরে ইটভাটায় ট্রাকভর্তি মাটি বহনের সময় পিচের রাস্তায় যত্রতত্রভাবে মাটি ছড়িয়ে ছিটানোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই বা গাঢ় কুয়াশায় শিশির পড়লে রাস্তা কাদাময় হয়ে পথচারীসহ যানহবন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এমনকি ওই অবস্থায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় অসংখ্য দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে জনমনে দেখা দেয় চরম অসন্তোষ। অবশেষে জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিল। ইতিমধ্যে উপজেলার ৪২টি ভাটা মালিককে তলব করে পিচের রাস্তা থেকে মাটি অপসারণের তাগিদ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে তারপরও বেশ কিছু সংখ্যক ভাটা মালিক বিষয়টি কর্ণপাত না করায় মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুইটি ভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়। এ দিকে উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে নন্দিত উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে ভুক্তভোগীসহ জনসাধারণ। তবে তাদের দাবি এ ধরনের পদক্ষেপ যেন মাঝপথে থেমে না যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, রাস্তায় যত্রতত্রভাবে মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে জনস্বার্থে গত রোববার উপজেলার ৪২ টি ভাটা মালিককে তলব করে রাস্তা থেকে মাটি অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে লক্ষনপুরের তারা ব্রিকস, দোদাড়িয়ার সরদার ব্রিকস, ভান্ডারিয়া মোড়ের সাহা ব্রিকস, খড়িঞ্চীর আরএম ব্রিকস, মিম ব্রিকস, মুন ব্রিকস, বিশ্বাস ব্রিকস, ঢালি ব্রিকস, নিউ সততা ব্রিকসসহ বেশ কিছু সংখ্যক ভাটার মালিকরা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার রোহিতা, ঝাঁপা, খেদাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় জরিমানা করা হয় দোদাড়িয়ার সরদার ব্রিকসের মালিক রবিউল ইসলামকে পাঁচ হাজার এবং চাঁদপুর-মাঝিয়ালীর মিম ব্রিকসের মালিক হাফিজুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযানকে ভুক্তভোগীসহ জনসাধারণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: