মনিরামপুরে যুবদল নেতা আনিচ হত্যার ৮ বছর পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ওসিসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মনিরামপুর প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:২৬

মনিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:২৬

ফাইল ফটো।

যশোরের মনিরামপুরে যুবদল নেতা আনিছুর রহমান হত্যাকান্ডের আট বছর পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, তৎকালীন ওসি বিপ্লব কুমার নাথসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।নিহতের ছোটভাই মফিজুর রহমান বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার(২২ আগষ্ট) যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন। মামলাটি আমনে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান আহমেদ সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)কে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেজুতি সাজনীন।

মামলায় ৬০ আসামির মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্যরা হলেন, প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ, প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চু, সাবেক এমপি প্রয়াত খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, বাবলুর রহমানা বাবলু, খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, প্রভাষক মামুনুর রশিদ জুয়েল ও তার ভাই হারুন অর রিশদ সেলিম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের লাউড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে উপজেলা যুবদলের সদস্য আনিছুর রহমানের বাড়িতে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাতে সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে নির্দেশে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাংচুরের পর আনিছুরকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারপিটে হাত-পা ভেঙ্গে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের জামাই মনিরামপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ ওই রাতেই কতিথ ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে আনিছুরকে। পরদিন ৩ নভেম্বর সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে আনিছুরের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জানতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে মোবাইল ফোনে রিং করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এ মামলা করা হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: