দৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।।
করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় ঢেউ এর সরকারি নির্দেশনা মানতেই আজ অনেকেই ঘরে অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় শ্রম সংকট, ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, ভ্যান চালক, জুতা সেলাই এর কারিগরসহ (মুচি) দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এসব অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অংশ হিসেবে আজ মনিরামপুরের বহুল সমালোচিত সেচ্ছাসেবীকা সানজিদা জেরিন মণিরামপুরের পৌর শহরে খাবার সামগ্রী হিসাবে কাঁচা সবজি, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পটল, পুইশাক,কাঁচাঝাল, মুড়ি, লবন, চিনি, সাবান সহ সুরক্ষা সামগ্রী হিসাবে দিনভর বৃষ্টিতে ভিজে মাস্ক বিতরণ করেছেন।

রবিবার (২০ জুন) সকাল থেকে মনিরামপুর পৌর শহরে ঘুরে ঘুরে সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে মণিরামপুর পৌর শহরের অসহায় ঋষি, ভ্যান চালক, দিনমজুর, ভিক্ষুকদের হাতে তুলে দেন প্রয়োজনীয় খাবার ও সুরক্ষা সামগ্রী বলে জানানো হয় জেরিন এর ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।
বিশেষ এক সাক্ষাতে জেরিন দৈনিক সমসাময়িক নিউজ'কে বলেন আমি গত তিন মাস আগে ভারতীয় এক নাগরিকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের অবস্থান করি। এরিমধ্যে শুরু হয় করবোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়াই ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করলে আমরা দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সুতরাং খানিকটা বাধ্য হয়ে আমাকে ভারতে আমার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অবস্থা করতে হয়। তবে আমার নেশা তখন অসহায় মানুষের পাশে থাকার তখন বসে থাকি কি করে। তাই গত রোজার মাসে ভারতের অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করি। দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষার পর সরকারি নিয়মনীতি মেনে দেশে ভিরে ১৪ কোয়ারেন্টাইনে থেকে আবারও আমার প্রাণের মণিরামপুর মানুষের মাঝে ফিরে তাদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করছি। আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার পাশে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সারাজীবন মানুষ জন্য কাজ করতে পারি।
এবং জেরিন আরো বলেন যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি না স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে ততদিন পর্যন্ত আমি আমার কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। তিনি এসময় মণিরামপুর বাসীকে করোনা মোকাবিলায় ভয় না পেয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের বিত্তবানকে দুস্থ-অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: