মনিরামপুরের ফল চাষী হাফেজ বিলাল এখন দৃষ্টান্ত

মোঃ শাহ্ জালাল।। | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৬

মোঃ শাহ্ জালাল।।
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৬

ছবি- ফল চাষী হাফেজ বিলাল

মনিরামপুর প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মাছনা বানপুর গ্রামের হাফেজ বেলাল হুসাইনের একের পর এক ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। পরিচিতি লাভ করেছেন আদর্শ চাষী হিসেবে, খেতাব পেয়েছেন ফল চাষী বিলাল নামে। তিনি এখন চাষ ও চাষীর জন্য আইডল। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য এখন দৃষ্টান্ত। হাফেজ বেলাল এখন একটি ব্রান্ড। বিলালের সফলতার গল্পটি বেশ চমকপ্রদ। মনিরামপুর উপজেলার প্রান্তিক চাষী নজরুল ইসলাম ও গৃহিনী মাতা আলেয়া কোমের ছেলে বিলাল । প্রান্তিক চাষীর ছেলে হয়েও কঠোর অধ্যাবাসায় ও ইচ্ছা শক্তি দিয়ে লেখাপড়ার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।

কুরআনের হেফজ শেষ করে বিজ্ঞানে দাখিল, আলিম, ইসলামিক স্টাডিজে অনার্সসহ কামিল পাশ করেন বিলাল। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তার স্বনির্ভর হয়ে মানুষের জন্য কিছু করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে বছর পাচেক আগে এক বন্ধুর পরামর্শে দুই বিঘা জমি লীজ নিয়ে মাল্টা চাষ শুরু করেন। মাল্টা বাগানের মধ্যে কুল ও পেয়ারা লাগিয়ে মূলতঃ মিশ্র ফলের চাষের যাত্রা শুরু হয়। ওই আবাদে খরচ বাদেও লাভবান হন বিলাল। এরপর ৫বিঘা জমিতে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। তাতেও লাভবান হন তিনি।সেই থেকে একের একর পর এক নতুন নতুন ফলের আবাদ শুরু করেন বিলাল। গড়ে তোলেন "শুকরিয়া এগ্রো ফার্ম"। এবার হাফেজ বিলাল ঝুঁকে পড়েন বিভিন্ন বিদেশি ফলের দিকে। আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, আনার, ত্বীনফল, মালবেরি, লংগান, বারমাসি আম, বারমাসি মাল্টা, বারমাসি লেবু, বিভিন্ন জাতের রঙিন আম, পাশাপাশি সাইট্রাসের বিভিন্ন জাত নিয়ে কাজ করেন তিনি। শুধু এর আবাদ করেননি, বরং বিভিন্ন জাতের চারা উৎপন্ন করে তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন বিলাল। মিশ্র ফলেব পাশাপাশি শসা, টমেটো, বিভিন্ন জাতের কপি, বেগুন, মরিচ ইত্যাদির চাষ করে থাকেন। গত বছর ২০ শতক জমিতে রাবি-৩ ও আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। এর পাশাপাশি অন্ততঃ ২০ জাতের আঙ্গুর চাষ করেছেন। তার ফার্মে এলাকার শ্রমজীবি মানুষ কাজের সুযোগ পাচ্ছে। বিলাল বলেন, আলহামদুল্লিাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি যবন যে ফলের চাষ করেছি তাতে লাভবান হয়েছি। মাল্টার সাথে কুল ও পেয়ারাতে লাভবান হয়ে ড্রাগনের আবাদ করি তাতেও লাভবান হয়েছি। বর্তমানে স্ট্রবেরি চাষে লাভবান হচ্ছি। এবার অন্ততঃ ২০জাতের আঙ্গুর চাষ করেছি, এতেও লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ। বিলালের বাগানের শ্রমিক ইউনুস আলী বলেন, বিলাল ভাই বাগান করেছিলেন বলে আমরা ১০-১৫জন শ্রমিক নিয়মিত কাজের সুযোগ পাচ্ছি এবং পরিবার পারজন নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে আছি।

I




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: