মোঃ শাহ্ জালাল।।
গতকাল দৈনিক সমসাময়িক নিউজে "মনিরামপুরে আম্ফানের ১বছর পরও সংস্কার করতে পারেনি প্রতিবন্ধী রুপসি রাণী তার ঘরটি" শিরোনামে নিউজ হওয়ার পর নিউজটি নজরে আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান মণিরামপুরের দানবীর খ্যাত এস এম ইয়াকুব আলীর। নিউজটি পড়েই খোঁজে খবর নেন রুপসি রানী ঘোষের এবং আজ গ্রামের কাগজের মণিরামপুর পৌর প্রতিনিধি তাজাম্মূল হুসাইন এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে তার বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দেন।

এসময় রুপসি নারী বলেন গতদিন নিউজ হওয়ার পর ভূমি অফিস থেকে আবারো এক বছর পর আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এবং একটা দরখাস্ত লিখিয়ে নিয়েছেন তারা, কিছু দিবে বলে। কিন্তু এখনও আমি সরকারি ভাবে কিছু পাইনি। আজ আমার ঘরটি মেরামতের খুবই প্রয়োজন। আমি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি, আমার থাকার কোন ঘর নেই। কোন মতে খুপড়ি বেঁধে আছি ছেলেটাকে নিয়ে। তাও কয়দিন বৃষ্টিতে পানি পড়ছে খুপড়ির ভিতর। সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী ভাই দূর থেকে খোঁজ নিয়ে সে আমার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে তার জন্য আর্শিবাদ রইলো সৃষ্টিকর্তা তার মঙ্গল করুক।

ভিটে মাটি আর এক ছেলে গোবিন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই অসহায় প্রতিবন্ধী রুপসী রানীর ঘোঘের। মা-ছেলে দু’জনেরই কষ্টের শেষ নেই। নওয়াপাড়া আকিজ জুট মিলে দৈনিক ১’শ ৯০ টাকা হাজিরায় যা হয় তাই দিয়েই মা-ছেলের জীবন চলে। এমন চরম কষ্টের কথা শুনে প্রতিবন্ধী রুপসী রানীর পাশে দাঁড়ালেন যশোরের সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী। প্রতিবন্ধী এই রুপসী রানী মণিরামপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের উত্তম ঘোষের স্ত্রী। অভাবের সংসারে একটু শান্তি ফিরিয়ে আনার আশায় স্বামী উত্তম ধার-দেনা সুদে করে বছর দু’আগে চলে যায় মালয়েশিয়ায়। যাওয়ার কিছুদিন পর করোনা ভাইরাসের লকডাউনের কারণে সেখানে কাজ কর্ম না থাকায় বাড়িতে টাকা পাঠানো তো দূরের কথা, সেও রয়েছেন সেখানে চরম কষ্টের মধ্যে। এরই মধ্যে গত বছরের গত বছর ২০ মে আম্পানে উড়িয়ে নিয়ে যায় রুপসী রানীর ছোট্ট সেই ঘরটুকু। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই ঘরের খুঁটি চাল কিছুই দিতে পারেননি। না পেয়েছেন তিনি কোন সরকারি আর্থিক সহযোগিতাও। এমন কি এগিয়ে আসেনি তার ঘর মেরামতের জন্য কেউ। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বসবাস করছেন ভিটের উপর কোন রকম একটি খুপড়ি ঘরে।

সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী বলেন, দৈনিক সমসাময়িক নিউজের মাধ্যমে জানতে পেরে রুপসী ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। অসহায় এ নি:স্ব মা-ছেলের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভাবে খুব শিঘ্রই রুপসী রানীর যদি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা নাও হয়, সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি নিজেই রুপসী রানী এবং ছেলে গোবিন্দর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: