মোঃ শাহ্ জালাল।।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান হওয়ার এক বছর অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নে জালালপুর ঘোষপাড়া গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী রুপসি রাণী তার ঘরটি আজও মেরামত করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত এই নারী পায়নি কোন সরকারি আর্থিক অনুদান। এমন কি এগিয়ে আসেনি তার ঘর মেরামতের জন্য কেউ।
গত ২০২০ সালের (১৯ মে) যশোর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে নিহত হয়েছেছিল ১১ জন। ঐ একই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মণিরামপুরের অবৈধ প্রবাসী উত্তম কুমার ঘোষের প্রতিবন্ধী স্ত্রী রুপসি রাণীর মাটির দেওয়াল টিনের ছাওনির ঘরটি। আজও সেই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভিটে মাটি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায় প্রবাসী উত্তম কুমার চোরাই পথে গতদুই বছর হলো মালয়েশিয়া গেছেন সুদের টাকায় ঋণ করে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে। যাওয়ার কিছু দিন পর-ই শুরু হয় করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ লকডাইন। লকডাইনে কোন কাজ না থাকায় বাড়িতে টাকাপয়সা পাঠাতে পারছেনা উত্তম। এদিকে একদিকে পাওনাদারদের ঋণের চাপ অপার দিকে বেঁচে থাকার একমাত্র আশ্রয়স্থল বসতি ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায় ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে। স্বামীর রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে রুপসি রানী শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ার সত্বেও কাজ করেন আকিজ জুট মিলে। লকডাইনে তারও কাজ বন্ধ থাকায় অসহায় রুপসি রানীর একমাত্র স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন ভিটের উপর কোন রকম একটি ঝুপড়িঘরে। বর্তমানে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে তার ঝুপড়ি ঘরটিও থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে ইস্কুল পড়ুয়া ছেলেটিকে পেটে ভাতে পাঠিয়েছেন অন্যের দোকানে।
এই পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পেয়েছে কি না জানতে চাইলে রুপসি রানী বলেন একটি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একবার ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তার পরে এই পর্যন্ত আর কেউ খোঁজ খবর রাখেনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: