মণিরামপুর থেকে ৩৩৩ নম্বরে ত্রাণ চেয়ে কল, খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির এসিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৬

ছবি সমসাময়িক
  মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। রাজগঞ্জ বাজারের ঝাড়মুড়ি বিক্রেতা মনোহরপুর গ্রামের টিটোন বিশ্বাস। ঝালমুড়ি বেচে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কষ্টের সংসার। করোনাকালীন লকডাউনে বেচাকেনা নেই। চলছে না সংসারের চাকা। উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ত্রান মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ৩৩৩ নম্বরে কল করেছেন তিনি। কল পেয়ে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে টিটোনের জন্য রাজগঞ্জ বাজারে খাদ্যদ্রব্য ( আট কেজি চাল, এক কেজি ডাল,এক লিটার তেল ও একটি সাবান) নিয়ে হাজির হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ। ৩৩৩ নম্বরে কল করেছিলেন রাজগঞ্জ বাজারের স্বর্ণলতা জুয়েলার্সের দোকানি বাদল মজুমদার। তার জন্যও খাবার নিয়ে হাজির হন এসিল্যান্ড। তারহাতে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার পর খবর মেলে বাদল ত্রাণ পাওয়ার উপযোগী নন। তিনি ছাদের বাড়ির মালিক। স্বচ্ছল ব্যবসায়ী।পরে খাদ্যসামগ্রী ফেরত নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক সিদ্দিক আলীকে দেন এসিল্যান্ড। এছাড়া শুক্রবার বিকেলে মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজারের আট দুস্থকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদসামগ্রী দিয়েছেন এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ। তারা হলেন, রাজগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামের ভিক্ষুক মান্দার গাজী, একই গ্রামের ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা নারান চন্দ্র, হানুয়ার গ্রামের ভ্যানচালক মুনতাজ গাজী, ওই গ্রামের প্রতিবন্ধী হুসাইন আহম্মেদ, ঝাঁপা এলাকার প্রতিবন্ধী আকবর আলী, চালুয়াহাটি গ্রামের ভিক্ষুক আলাউদ্দিন , বালিয়াডাঙা গ্রামের জুতা সেলাইকারী মনোহর দাস, মোহনপুর এলাকার ফল বিক্রেতা দয়ালকুণ্ডু। টিটোন বিশ্বাস বলেন, ঘরে খাবার ছিল না। এইজন্য ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়েছি বৃহস্পতিবার বিকেলে। আজ চাল, ডাল, তেল ও সাবান পাইছি। আমি খুশি। এসিল্যান্ড পরাশ দেবনাথ বলেন, ৩৩৩ নম্বরে কল পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকেলে চারজনের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বের হই। তাদের মধ্যে দুই জনের সন্ধান মেলেনি। স্বর্ণের দোকানি বাদল মজুমদারের অবস্থা স্বচ্ছল হওয়ায় তাকে ত্রাণ দেওয়া হয়নি। 'ঝালমুড়ি বিক্রেতা টিটোন বিশ্বাসের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো নয় জন দুস্থ অসহায় ব্যক্তিকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে,' বলেশ পলাশ দেবনাথ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: