মোঃ শাহ্ জালাল।। আমরা যশোর বাসী যেসব কীর্তিমান সন্তানকে নিয়ে গর্ব করতে পারি, এই মুহুর্তে ডা. মেহেদী তাদের মধ্যে একজন।
খুবই অল্প বয়সে এই মানুষটি জীবনের প্রতিটি কাজে রাখছেন অসাধারণ অবদান। জীবনের প্রথম দিক থেকেই তিনি এখন আলোচনা কেন্দ্র বিন্দু। রাজপথের সৈনিক না হয়েও তাঁর নামে রাজপথেও হয় আলোচনা। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে রাজপথে এই আলোচনা কে ডাক্তার মেহেদী বলেন এটা মানুষের কল্পনা মাত্র। আমি এখন মানব সেবায় ব্যাস্ত আছি বাকি জীবন মানব সেবায় ব্যাস্ত থাকতে চাই।
মণিরামপুর বাসীকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে সেটা রাজনীতি বা রাজ পথে থেকে করতে হবে এমন টা না। আমি আজ আপনার এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মণিরামপুর বাসীকে জানাতে চাই আমি ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, আপনাদের সন্তান, চিকিৎসক হিসিবে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। মনিরামপুরের সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষের কথা চিন্তা করে আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল সল্প খরচে এম্বুলেন্স সার্ভিস আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আপনাদের জন্য "আমাদের এম্বুলেন্স" নামে একটি এম্বুলেন্স সেবা চালু করছি। যেটার মূল উদ্দেশ্য "মানবতার সেবায় আপনাদের পাশে সব সময়" শুধু মাত্র তেল খরচে এই সেবা অব্যাহত থাকবে।
মূল্য তালিকা :
মণিরামপুর-টু মণিরামপুর (যেকোন স্থান): ৩০০ টাকা।
মণিরামপুর-টু যশোর: ৬০০ টাকা।
মণিরামপুর-টু খুলনা : ২,০০০ টাকা। 
মণিরামপুর টু ঢাকা: ৭,০০০ টাকা।
আর মণিরামপুরের কেউ মারা গেলে তার ডেড বডি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত মানবিক এই ডাক্তার মেহেদী হাসান বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত আছেন। তরুণ এই চিকিৎসক লেখাপড়া শেষ করেছেন টার্নোপিল ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউক্রেন থেকে। লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবা নিয়োজিত। নরম শান্ত স্বভাবের তরুণ এই চিকিৎসক করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা দিয়েই আজ দেশের একজন জনপ্রিয় ডাক্তার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিশেষ করে করোনা কাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের এডমিন ক্যাডারদের একমাত্র ভরসা ছিল ডা. মেহেদী হাসান। করোনা কালে ডা. মেহেদী হাসান টেলি মেডিসিনে মণিরামপুর বাসী সহ দেশ এবং দেশের বাইরে ফ্রী চিকিৎসা দিয়েছে ছয় হাজার প্লাস করোনা রুগী। এর ভিতর গুরুতরভাবে অসুস্থ রুগী থাকলেও একজন মারা যাওয়ার কথা শুনা যায়নি। চিকিৎসা সেবা'র পাশাপাশি ডা.মেহেদী হাসান করোনাভাইরাসের মহামারীতে অনেক দুস্ত অসহায় রুগীকে ঔষধ, ত্রাণ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বিভিন্ন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া খরচ বহন, নিজ এলাকায় ১৫০ জন গ্রাম্য ডাক্তার হসপিটালের টেকনিশিয়ান এবং উল্লেখযোগ্য নবচেতনা, নিশু, প্রত্যায়, বন্ধন, এফএসডিও এবং করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফন কাজে নিয়োজিত সংগঠন সহ একধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নগদ অর্থ, পিপিউ, মাস্ক প্রদান করেছেন ঐ সময়। এছাড়া সারাবছর ডা. মেহেদী হাসান গোপনে ও প্রকাশ্যে অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ ও অসহায় মানুষকে অর্থনৈতিক সহযোগী করে থাকেন।
                                
                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: