মোংলা বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত উপজেলা প্রশাসন

রাশেদ রেজা, বিশেষ প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪ ২০:৫৬

রাশেদ রেজা, বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪ ২০:৫৬

দৈনিক সমসাময়িক ফটো।।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ রেমাল মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মোংলা উপজেলা প্রশাসন মোংলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সকল এনজিও, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ,
পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী সহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে খোলা রাখা হয়েছে। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিপিপি সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহিন রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ছয়টি বাণিজ্যিক জাহাজ জেটি থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় একটি কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। যে কোন অসুবিধায় কাজ করবে তারা। মোংলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল রাতের যে কোন সময় আঘাত আনতে পারে। বর্তমানে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অপরদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ ২৬ মে সকাল ১১ টায় মোংলা খেয়া পারাপারের সময় একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে । ট্রলারটিতে অতিরিক্ত গার্মেন্টস কর্মী নিয়ে আসার কারণে ডুবে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।এ সময় ট্রলারে থাকা গার্মেন্টস কর্মীরা সাঁতার কেটে কুলে উঠতে সক্ষম হয় । প্রাথমিকভাবে দুজন গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে তাদের পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম মোংলা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জসিম সহ কোস্ট গার্ড এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে কোস্টগার্ডের ডুবুরি টিম এবং সাধারণ ডুবুরির মাধ্যমে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: