অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের কেশবপুরে নারীদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কাজ করছেন কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার। নারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়াসহ বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিয়ে তিনি তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর হাত ধরে হরিহর নদ পাড়ের উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ছিলেন। ওই পাড়ার অধিকাংশ মানুষের বসতভিটা ছাড়া চাষাবাদ করার জমি নেই। সেখানকার নারীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার। সেখানে জেলা পাড়ার নারীরা স্বামীর আয়ের পাশাপাশি তারাও বাড়তি কিছু করে সংসারে আরও বেশি স্বচ্ছলতা ফেরাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার ওই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদে ভাসমান বেড তৈরি করার মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি ও মশলা আবাদের উদ্যোগ নেন। নদের কচুরিপনাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় ৩০টি ভাসমান বেড। ১০ মিটার লম্বা ও এক মিটার প্রস্থের এসব ভাসমান বেড দেওয়া হয় ওই জেলে পড়ার নারীদের। সেখানে তারা আবাদ করেছেন, লালশাক, পালং, সবুজ শাক, কচু, লতিরাজ, লাউ, ধুন্দল, মিষ্টি পোল্লা, কুলফি, পেঁয়াজ ও রসুন। এসব পরিচর্যার জন্য দুটি নৌকাও দেওয়া হয়েছে তাদের।
জেলে পাড়ার গৃহবধূ আদদাশী বিশ্বাস বলেন, ভাসমান বেডে বিভিন্ন সবজি আবাদ করে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি সবজি বিক্রি করে সংসার ভালোই চলছে। ভাসমান বেড তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তুলছে।
এদিকে বুধবার সকালে মধ্যকুল গ্রামের জেলে পাড়ার ১৬ জন নারীকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার চুই ঝাল ও আম গাছের চারা তুলে দেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, হরিহর নদ পাড়ের উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের জেলেপাড়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক নিম্ন। সেখানকার নারীদের সঙ্গে কথা বলে হরিহর নদে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয়করণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর ফলে ভাসমান বেডে বিষমুক্ত সবজি ও মশলার আবাদ করে ওই পাড়ার অন্তত ২০টি পরিবার নিজেদের সংসারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ ছাড়া নারীদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণসহ কৃষি উপকরণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। #
                                
                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: