মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ইউপি সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার, অনিয়ম, ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউনিয়নটির ১১জন ইউপি সদস্য। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থাপত্র জমা দেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা গেছে।
ইউনিয়নটির ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিটু প্রধান বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান সাহেব ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবতে শুরু করেছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ, টিআর, কাবিখা, কাবিটা সুষম বন্টন না করে শুধুমাত্র তার নিজস্ব লোকদের দিচ্ছেন এতে করে ইউনিয়নটির কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। তারাও একটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জনগণের প্রত্যাশার বিন্দুমাত্র পূরণ করতে পারেনি। লোক লজ্জায় মানুষের সামনে বের হতে পারেন না তারা। বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
ইউনিয়নটির ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার জন্য চেয়ারম্যানের উচিত ছিল ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা করে পরামর্শ নেওয়া কিন্তু তিনি কখনোই ইউপি সদস্যদের পরামর্শ নিতেন না। সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতেন। বিষয়টি প্রথমে তাকে মৌখিকভাবে পরে লিখিতভাবে জানে না হলেও তিনি তা আমলে নেননি। সেজন্য বাধ্য হয়ে তিনি অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন।
ইউনিয়নটির ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভিন আক্তার বলেন, এমন অনেক মানুষ আছে যারা সরাসরি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যেতে পারেন না। গত এক বছরে অসংখ্য দুস্থ মা-বোন তার কাছে সহায়তার জন্য এসেছেন তিনি বিষয়টি অসংখ্য বার চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালেও লাভ হয়নি তিনি শুধুমাত্র তার নিজের লোকদের মধ্যেই বরাদ্দ বন্টন করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এরকম কোন খবর তার কাছে নেই। তবে ইউপি সদস্যরা তার প্রতি অনাস্থা দিবে এরকম কোন কাজ তিনি করেননি। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজখবর নিবেন।
বিষয়টা সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ইউপি সদস্যরা তার কার্যালয়ে এসে অনাস্থাপত্র জমা দিয়ে গেছে। অনাস্থাপত্রে একজন বাদে মোট ১১জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জ্ঞাত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তিনি।
                                
                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: