চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ঘোষিত নবগঠিত কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদ বঞ্চিতরা নেতা কর্মীরা। তার সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল (৫ মার্চ রবিবার) বিকেলে পটিয়া প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাপার দক্ষিণ জেলার সাবেক শ্রম ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান পটিয়া পৌরসভা জাপা সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা জাপা'র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা কৃষক পার্টি সভাপতি মাহবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা যুবসংহতির সাবেক সদস্য সচিব রূপেশ সরকার, পটিয়া উপজেলা জাপা'র সহ সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী, আবদুস ছত্তার সওদাগর, নুরুল আবছার,নুরুল ইসলাম গান্ধী, এমরান মিয়া, আনিস, মামুন, দিদারুল আলম, সাহাব মিয়া প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ও মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি স্বাক্ষরিত দক্ষিণ জেলা জাপা'র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দেন। কিন্তু সদ্য ঘোষিত কমিটিতে জাতীয় পার্টি’র প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ও জাপা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জাপার সভাপতি প্রয়ায়ত শামসুল আলম মাস্টারে অনুসারী দু-সময়ের দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী ও তৃনমূল নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ অজান্তে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে ভুল বুঝাইয়া একজন বিতর্কিত লোককে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়ক করে ১২৫ সদসাা বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। যে, কমিটিতে চ দক্ষিণ জেলার অসংখ্য নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্টি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বর্তমান কো চেয়ারম্যান-১ উপস্থিত থেকে সর্বশেষ যে সম্মেলন করেছিলেন, ঐ সম্মেলনে সবাই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ও ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুমোদনকৃত আহŸায়ক কমিটিতে অনেকেই যুগ্ম আহŸায়ক ও সদস্য দায়িত্ব পালন করেছন। সদ্য অনুমোদন পাওয়া আহŸায়ক কমিটিতে আমাদেরকে প্রয়াত কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলার আহŸায়ক সামসুল আলম মাষ্টার এর অনুসারী বলে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ ঘোষিত কমি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তারা আরো উল্লেখ করেন, ১৯৯১ সালে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ মুক্তির আন্দোলন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে মিছিল, মিটিংনে অংশগ্রহন করে আসছেন তারা। দলের স্বার্থের পরিপন্থী ত্যাগি নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে বর্তমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বর্তমান আহবায়ক
এই কমিটিতে মৃত মানুষকে রাখা হয়েছে, যেমন কমিটির ৩২নং সদস্য রমজান মুন্সি ও ৯৫নং সদস্য মোহাম্মদ আলী বর্তমানে মৃত। একজন লোককে একাধিক জায়গায় সদস্য করা হয়েছে, যেমন জসিম উদ্দিন সিকদার, দুলা মিয়া মেম্বার, রুবেল খান, হাজী নুরুল ইসলাম, কাজী মজিবুর রহমান। এ কমিটিতে নিজে আহবায়ক আবার তাহার ছেলে ৮১নং সদস্য ফরিদ উদ্দিন সরকার, আবার অফিসের পিয়ন আবদুল হাকিম ৬০ নং সদস্য, আবার কর্ণফূলী আওয়ামীলীগের ৪৩নং সাইফু উদ্দিন মানিক মেম্বারকে সদস্য করা হয়েছে।
দলের ত্যাগি বাদ পড়া কমিটি’র নেতাকর্মীরা হলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুমোদনকৃত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী ইসমাইল আজাদ, আবু বক্কর ছিদ্দিকী, সাতকানিয়া উপজেলা সভাপতি আবদুস ছাত্তার, আনোয়ারা উপজেলা সভাপতি আলী আকবর চেয়ারম্যান, দ: জেলা জাপা'র শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক- পৌর সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সাবেক জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, সাবেক দক্ষিণ জেলার ছাত্র সমাজের সভাপতি মো: সোলায়মান, বোয়ালখালীর সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম মুরাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- ডাঃ খোরশেদুল আলম, ফরিদ আহাম্মদ চৌধুরী, আবদুস সত্তার সওদাগর, মোঃ নুর ছফা, বাবু মিলন কান্তি মেম্বার, রাজিব দাশ রাজু, আলহাজ¦ আবু তাহের সওদাগর, দিলীপ ঘোষ দিপু মেম্বার, রনজিত ভট্টাচার্য্য কালু, মাহবুবুর রহমান, এন.এম. জসিম উদ্দীন, মোঃ এয়াছিন খান, নেজাম সওদাগর, দিদারুল আলম, আমিন ফারুকী, নুরুল আবছার, মোঃ ইদ্রিস, জালাল উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন মেম্বার, সোলায়মান চৌধুরী, জাফর আহমদ, ছৈয়দুল আরেফীন পান্থ, শফিকুল ইসলাম, রফিক আহমদ, ছালেক আহমদ, মোঃ দুলাল, মোঃ বাদশা মিয়া, নজির আহমদ, সাইফুল ইসলাম, আবদুল রাজ্জাক, নুর নবী চাদ, মোঃ আবছার, এরশাদ আহমদ, লিয়াকত আলী, মোঃ নাছির আহমদ, আহাম্মদ শরীফ, ডাঃ আবছার, মোঃ সেলিম, মোঃ আকবর, নুরুল ইসলাম মেম্বার, রফিক আহমদ সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ইয়াছিন, রূপেশ সরকার, নুর আহমদ কন্ট্রাক্টর, আবু ওয়াহেদ, মোঃ আলী, রবি চৌধুরী, আশরাফ আলী, মোঃ শফি, মোঃ আবছার, মোঃ পারভেজ, রাশেদুল হক খোকন, আবুল মনসুর, পুতুল বড়ুয়া, জয়নাল আবেদীন, ফিরোজ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. ইয়াকুব আলী চৌধুরী, বাবু যীষু দে, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, নুরু ছফা সওদাগর, মজিবুল হক, মুছা ড্রাইভার, জালাল উদ্দিন, মোরশেদুল আলম, আবদুল খালেক প্রমুখ দলের ত্যাগী নেতাদের শামসুল আলম মাষ্টারের অনুসারী হওয়ায় কমিটি থেকে ইচ্ছাকৃত বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
                                
                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: