
পটিয়া সংবাদদাতা।।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা কেলিশহর ইউনিয়নে সেনপাড়া কালা বাবা আশ্রম এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে মাদক ও ইয়াবা আখড়ার সিন্ডিকেট । ফলে এলাকার উঠতি বয়সের ছাত্র ও তরুণ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছ। এসব মাদক ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য কুতুব, সোহেল,নেজাম,রাজিব, মানিক, মহসিন, মুছা, রুবেল। এদের গডফাদার মোঃ কুতুব উদ্দিন ও মোঃ নেজাম। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নেজাম ও কুতুব চিহ্নিত মাধক কারবারি গত ২২ জুলাই রাতে এলাকাবাসী ধাওয়া করলে ৪০০ লিটার বাংলা মদ দুইটি অস্ত্র মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে য়ায় বলে সাবেক ইউপি মেম্বার আ.লীগ নেতা ইউনুস জানান। নেজাম কুতুব এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কেলিশহর ইউনিয়নে ৫০ সদস্য মাদক সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পটিয়ার কেলিশহর পূর্ব অঞ্চল পাহাড়ের একটি সিন্ডিকেট গঠন করে এ মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে । এমন কি তাদের এ কাজে ব্যবহার করছে ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারীদের। তাদের সাথে যুক্ত রয়েছে রোহিঙ্গা। মাদক কারবারিদের ট্রানজিট নিরাপদ পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করছে পূর্ব অঞ্চল পাহাড় এলাকায় দোয়ালীশা মাজার সংলগ্ন সড়ক দিয়ে পঞ্চাশ পাহাড়, পুরাতন ফরেস্ট বিট অফিস, খিল্লাপাডা, বডুয়াপাড়া, সেনপাডা আশ্রম, মৌলবীবাজার, মাঝির পাডা সড়ক। মাঝে মধ্যে দারগাহাট ও ভট্টাচার্য হাটে জনসম্মুখে কোমড়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। নেজাম- কুতুব বিএনপি ক্যাডার জসিম এর সহযোগী। জসিম প্রতিপক্ষ হাতে নিহত হলে তার অস্ত্র ভান্ডার নিয়ন্ত্রণে নেন নেজাম ও কুতুব। বর্তমান সরকার আমলে নেজাম ও কুতুব বীরদর্পে মাদক ও ইয়াবা ব্যাবসা জমজমাট চালাচ্ছে বলে এলাকার লোকজনের এবং স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। পটিয়া থানার পুলিশ হাতে এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে দুর্ধর্ষ মাদক ও ইয়াবা সম্রাট নেজাম ও কুতুব। তাদের মাদক ব্যাবসা ও সন্রাসী সিন্ডিকেট মুর্তিমান মানুষের আতংক। তাদের ভয়ে মানুষ মুখ খুলার সাহস পাচ্ছে না বলে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক নারী- পুরুষ জানান। পটিয়ায় প্রতিদিন ঢুকছে হাজার হাজার চোলাই পাহাড়ি মদ তার পাশাপাশি কুটির ব্যবসা অর্থাৎ ইয়াবা। আর এ মরণ নেশা ইয়াবা ও মাদক পাচার প্রধান সড়ক হিসাবে পটিয়া- কেলিশহর রতনপুর সড়ক। তাদের সাথে বোয়ালখালীর করল ডেঙ্গা পাহাড়ি এলাকার মাদক কারবারিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। ক্ষেত্র বিশেষ মাদক কারবারিরা রুট পরিবর্তন করে বোয়ালখালী হয়ে পটিয়ার ধলঘাট আবার পটিয়া থানা পুলিশের তাড়া খেয়ে বোয়ালখালীতে পার হয়ে যায়।পটিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত রাঙ্গুনিয়ার কমলাছডি, রোয়াংছডি, করল ডেঙ্গার সন্ন্যাসী পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথে উপজাতি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে মাদক ইয়াবা আসে পটিয়ায়। নেজাম ও কুতুব এর সাথে রয়েছে উপজাতি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সুসম্পর্ক। তাদের হাতে থাকে বড় লন্বা কিরিচ কোমড়ে থাকে অস্ত্র। পটিয়া থানা পুলিশ একের পর এক অভিযান চালালে পটিয়ার মাদক কারবারিরা পাহাড়ে ঢুকে যায় বলে পাহাড়ের বসবাসকারী সুত্রে জানা গেছে তবে তাদের নাম গোপন রাখার অনুরোধ করেন। পটিয়ার এসব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, ,পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম সভাপতি মহিউদ্দিন বকুল, মানবাধিকার নেতা এডঃ জমিউর আলম,সাবেক ছাত্র নেতা কাজী খোরশেদ আলম, ডাঃ খোরশেদ আলম, সাবেক মেম্বার ইউনুস ব্যাবসায়ি রহমান সহ আরো অনেকে। তারা দাবি করেন, পটিয়াকে একটি সুন্দর নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে পটিয়ার এমপি হুইপ দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কিন্তু কিছু দাগী আসামী মাদক ও ইয়াবা কারবারির জন্য পটিয়ার সুনাম ক্ষুন্ন হোক তা মেনে নেওয়া যায়না। অবিলম্বে মাদক ও ইয়াবা কারবারিদের গ্রেফতার করার দাবি জানান এ ব্যাপারে পটিয়া পুলিশ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী। এদিকে পটিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড হাবিবুর পাড়া ও ৬ নং ওয়ার্ড পাইক পাড়া এলাকায় জমজমাট মাদক ও ইয়াবা ব্যাবসা চলছে বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ। পটিয়া থানার পুলিশ বাইপাস সড়কসহ এসমস্ত এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান এবং চিহ্ন মাদক ব্যাবসায়িকে আইনের আওতায় আনার জন্য পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার ও ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম এর সুদৃষ্টি কামনা করেন। পটিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে মাদক ও ইয়াবা বিকিকিনির কারণে যুবসমাজ ধ্বংশ হচ্ছে পুলিশ জনতা যৌথ পারফর্মেন্স কারিকুলাম তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় চিহ্ন মাদক কারবারি কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান এবং যুব ও ছাএসমাজ কে রক্ষা করতে সকল অভিভাবক সচেতন মহল ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদক বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: