
বিশেষ প্রতিনিধি।।
২০২০ সাল জুড়ে ছিলো মনিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ৫৫৫ বস্তা ত্রাণের চাল কান্ড। আর ২০২১ সালের শুরুতেই শুরু হলো আবারো
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র নারীদের নামে বরাদ্দ ভিজিডির ৫৭ বস্তা চাল আত্মসাৎচেষ্টার অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রকল্পের সদস্য সচিব উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিন ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে বস্তাভর্তি চাল পান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তালিকাভুক্ত ৫৭ জন উপকারভোগী নারীর মাঝে সেই চাল বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, সরকার ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে হতদরিদ্র নারীদের জন্য মাসে মাথাপ্রতি ৩০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ করে। এরই ধারাবাহিকতায় হরিহরনগর ইউনিয়নে ডিসেম্বর মাসে ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে ১৭৪ উপকারভোগী নারীর নামে পাঁচ হাজার ২২০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। অভিযোগ রয়েছে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ১১৭ জন উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। বাকি ৫৭ জন নারীর নামে বরাদ্দ ৫৭ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল বিতরণ না করে ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম। এলাকায় প্রচার হয়, চেয়ারম্যান ওই চাল আত্মসাতের জন্য গুদামে রেখেছেন। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিজিডি প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রকল্পের সদস্য সচিব উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আকতার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদকে নির্দেশ দেন। এ দুই কর্মকর্তা বুধবার বিকেলে সরেজমিন ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে ৫৭ বস্তাভর্তি চাল শনাক্ত করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম চাল আত্মসাৎচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ৫৭ জন উপকারভোগী না আসায় তাদের নামে বরাদ্দ ৫৭ বস্তা চাল তিনি গুদামে সংরক্ষণ করেন।
প্রকল্পের সদস্য সচিব উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আকতার জানান, ৫৭ জন উপকারভোগী নারী নির্ধারিত সময় (ডিসেম্বর মাস) কাজের ব্যস্ততার কারণে আসতে না পারায় চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ওই উপকারভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: