
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
টঙ্গী পূর্ব থানা মাছিমপুর এলাকায় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের রুমে একজন দেহ ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। সরেজমিনে জানা যায়, টঙ্গী মাছিমপুর এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ইয়র্ক ইংলিশ নামের একটি স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। স্কুলটি সরকারী ভাবে অনুমোদিত। ২০১৯ থেকে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ায় স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ির মালিক স্কুল কতৃপক্ষের দিকে বিবেচনা না করে স্থানীয়ভাবে বসে ভাড়া ও বিভিন্ন খরচ বাবদ উক্ত জামানত কেটে সামান্য টাকা ফেরত দেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ নয়নকে। এসময় স্কুল কতৃপক্ষ স্কুলের কক্ষে স্কুলের মূল্যবান আসবাবপত্র বিদ্যমান ছিল। যা সময় করে স্কুলের মালিকের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতি মুনাফালোভী বাড়ির মালিক ডা. দৌলত খান সেই সুযোগে একজন দেহ ব্যবসায়ীকে স্কুলের মুল অফিস রুম ভাড়া দেন। এতে করে স্কুলের রুমে দেহ ব্যবসা এমন আলোচনা স্থানীয়দের মুখে মুখে বিরাজমান। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বাড়ির মালিক কোন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ডেন্টাল ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। জানা যায়, ইয়র্ক ইংলিশ স্কুল ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০২০ সালে করোনা আসা মাত্র স্কুলের সকল অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে বাড়িওয়ালা তার নিজের সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে স্কুলের সাইনবোর্ড খুলে ফেলে এবং স্কুলের নিচে থাকা বাচ্চাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং পেঙ্গুইন ভেঙ্গে রাস্থায় ফেলে দেন। এরপর স্থানীভাবে আপোষ- মিমাংশা হয় এবং স্কুলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদ নয়ন জানান, বাড়ির মালিকের সাথে আমার কথা ছিল স্কুলের যাবতীয় আসবাবপত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাকে সময় না দিয়ে স্কুলে পতিতা ভাড়া দেয়। এ বিষয়ে ডা. দৌলত খানকে ফোন করলে তিনি প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলার কথা স্বীকার করেন এবং পতিতা ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: