মণিরামপুরে মেয়েকে ভারতে পাচার করতে যেয়ে পাচারকারী হাবিবুর খাঁচায় বন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২২ ১২:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২২ ১২:০৭

ছবি সমসাময়িক

আনিছুর রহমান।।

আপন ভাইরার মেয়েকে ভারতে পাচার করতে যেয়ে পুলিশের খাচায় বন্ধি হলেন হাবিবুর নামের এক নরপিচাষ খালু। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের কেসমত চাকলা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ গাইনের ছেলে হাবিবুর রহমান তার আপন ভাইরা পারখাজুরা গ্রামের আদশ‍্য পাড়ার মনিরুল ইসলামের কন‍্যা পারখাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রী রিয়া খাতুন (১২) কে ভোরকা কিনে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার বিকেলে কাঠালতলা বাজারে নিয়ে যায়। পরে বাঁকড়ায় ভালো ভোরকা পাওয়া যায় বলে তাকে নিয়ে বাঁকড়ার উদ্দেশ‍্যে রওনা হয়। কিন্তু বাঁকড়া বাজারে না নিয়ে সন্ধা ৬ টার দিকে মুকুন্দপুর মাদ্রাসার পাশে জামাল উদ্দীনের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে ইজিবাইক নিয়ে দাড়িয়ে থাকা পাচারী দলের অপর সদস‍্য সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কবির হোসেন ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। পাচারকারী হাবিবুর তার দলের সদস‍্য কবির ও মনোয়ারার সাথে কানাঘুষি করে রিয়াকে সিএনজিতে নিয়ে যাবে। এমন সময় রিয়ার সন্দেহ হলে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন পাশের বাড়ির কয়েকজন মহিলা এসে মেয়েটির কাছে বিষয়টি জানতে চাই। মেয়েটি সকল ঘটনা খুলে বললে মহিলারা বুঝতে পারে তাকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ‍্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন মহিলারা কথা কাটাকাটি করতে থাকলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় কবির ও তার স্ত্রী মনোয়ারা। পরে আশপাশ থেকে পুরুষেরা এসে পাচারকারী হাবিবুরসহ মেয়েটিকে নিয়ে পাশে জামালের বাড়ি রাখে। জানতে পেরে স্থানীয় সাবেক মেম্বর ফারুখ হোসেন বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেকে জানাই। ইনসপেক্টর এস আই কামরুজ্জামান ঘটনা স্থলে যেয়ে পাচারকারী ও ভিকটিমকে নিয়ে আসে এবং মনিরামপুর থানাকে অবহিত করেন। রাত আড়াইটার দিকে এস আই সৌমেন বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে তাদেরকে মণিরামপুর থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে রিয়ার মাতা মিনারাসহ কয়েকজন থানায় যান এবং তার মেয়েকে মিথ‍্যা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যেয়ে ভারতে করার চেষ্টার অপরাদে মিনারা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে মিনারা জানিয়েছেন। কথা হয় মশ্মিম নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সাথে তিনি বলেন শুক্রবার রাতে আমি ঘটনাটি শুনেছি। ওই রাতেই আমার এক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র যায়। সেখানে যেয়ে ঘটনাটি শোনার পর তারাও জানতে পারে মেয়েটিকে পাচার করছিল তার নরপিচাষ খালু হাবিবুর বলে তিনি জানিয়েছেন। । এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিটন হোসেন বলেন, পুলিশ মামলা রেকর্ড হয়েছে তবে এখনো আমি কাগজ হাতে পাইনি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: