চিরিরবন্দরে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু নির্যাতন

বিশেষ প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৫

বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৫

ছবি- নিউজ প্রতিনিধি।

বিশেষ প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় একজন মাদ্রাসা ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মো: শাহ আলম নামে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ৭নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বৈদেশীর হাট এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের স্বীকার মাদ্রাসা ছাত্রের নাম মো. ইয়াছিন আলী (১০)। সে মো.সামিউল ইসলামের ছেলে ও বৈদেশীর হাট পশ্চিম পাড়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ছাত্র।
গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র ইয়াছিন আলী (১০)কে তাৎক্ষনিকভাবে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মো: শাহ আলম বৈদেশীর হাট পশ্চিম পাড়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্র ইয়াছিন আলী (১০) এর বাবা মো.সামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বড় একজন আলেম হওয়ার জন্য উক্ত মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সে ভালোভাবে পড়াশোনাও করছে। দুই দিন আগে হুজুরের অনুমতি নিয়ে সাইকেল নিয়ে ছুটিতে বাড়ি আসে ইয়াসিন। একদিন দেরি করে মাদ্রাসায় আসায় তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন তিনি"।
চিরিরবন্দর ৫০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর বাম চোখ, বাম হাত, বাম পা ও নাক ফেটে গেছে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে"।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মো: শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: