
মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এক ইউপি সদস্য টানা চার বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মণিরামপুর বাসীকে। জানাযায় উপজেলার ১৪ নং দূর্বাডাঙা ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম আক্তার এবার দিয়ে পরপর একটানা চারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তথ্য সূত্র মতে চার জন প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে ২০০৩ সালে প্রথম বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হতে দেড় যুগ পার করে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
উপজেলার ১৪ নং দূর্বাডাঙা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ গাজী ও মো: জরিনা বেগমের ছেলে ছেলিম আক্তার ছোট বেলা থেকেই ন্যায়পরায়ন ও বিশ্বস্থতায় মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। অভাব অনাটনের সংসারের হাল ধরতে গিয়ে লেখাপড়া বেশি দুর আগাতে না পারলেও এলাকার উন্নয়ন ও জনসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে তিনি। এক পর্যায়ে এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে অংশগ্রহন করে ইউপি নির্বাচনে। ২০০৩ সালে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনের সময় আসলেও তহসিল না হওয়ায় টানা নয় বছর পার করে ২০১১ সালে আবারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে সেবারেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে আবারো দুই প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে ২০০১৬ সালে তৃতীয় বারের মতো জনপ্রিয়তা প্রমান করেন।
প্রায় দেড়যুগ ইউপি সদস্য হিসেবে পার করে এবারের নির্বাচনেও অপর প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে বিজয় অর্জন করেন তিনি। টানা চতূর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সেলিম আক্তার। শুরু থেকেই বরাবরের মতো এবারও তিনি মোরগ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এলাকাবাসি জানান, ন্যায় পরায়ন, সততা ও জনসেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত করে সেলিম আক্তার মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। টাকা চার বার নির্বাচিত হওয়ায় তাকে সরকারী ভাবে সম্মানিত করার দাবি জানান এলাকাবাসী। সেলিম আক্তার জানান, এলাকার মানুষের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখার প্রতিদান স্বরূপ মানুষ তাকে আবারো নির্বাচিত করে সম্মানিত করেছে। বাকি জীবন তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: