যশোরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফৌজদার সমাহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৪১

ছবি সমসাময়িক
কেশবপুরে নবাব নুরুল্লাহ খান যখন যশোরের ফৌজদার তখন বাংলার সুবাদার ছিলেন নবাব ইব্রাহিম খান। সে সময় ১৬৯৬ সালে মেদিনীপুরে চেতুয়াবর্দ্দাও জমিদার শোভাসিংহ বিদ্রোহ করে বর্ধমান জেলার রাজস্বেও ইজারাদার কৃষ্ণরায়কে পরাজিত ও নিহত করে তার স্ত্রী কন্যাদের বন্দি করে। উড়িষ্যার আফগান সরদার রহিম খান তার সাথে যোগ দেন। কৃষ্ণরায়ের পুত্র সুবাদারের সাহায্য প্রার্থণা করলে নুরুল্লাহ খানকে বিদ্রোহ দমনের নির্দেশ দেন। নুরুল্লাহ খান বিদ্রোহ দমনের জন্য হুগলীর দিকে অগ্রসর হন। কিন্তু শোভাসিংহের মোকাবেলায় অসমর্থ হয়ে নুরুল্লাহ খান যশোরে পালিয়ে আসেন। সুবাদার তার পুত্র জবরদস্ত খানকে বিদ্রোহ দমনে প্রেরণ করেন। ইতোমধ্যে কৃষ্ণরায়ের কন্যার হাতে শোভাসিংহ ছুরিকাহত হয়ে মারা যান। রহিম খান এবং শোভাসিংহের ভাই হিম্মত সিংহ বিদ্রোহ পরিচালনা করে মকসুদাবাদ এবং কাসিমবাজার লুন্ঠন করে। জবরদস্ত খানের আক্রমণে টিকতে না পেরে বিদ্রোহীরা চন্দ্রকোনার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থতার জন্য সম্রাট নুরুল্লাহ খানকে কেবল মাত্র যশোরের ফৌজদারিতে বহাল রাখেন। হুগলী, মেদিনীপুর ও বর্ধমানের জন্য জবরদস্ত খানকে ফৌজাদার নিয়োগ করেন। নুরুল্লাহ খান অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং জনদরদী ফৌজদার ছিলেন। তিনি আনুমানিক ১৭১০ সালে মারা যান। এবং তাঁকে কেশবপুরের কিল্লাবাড়ির পাশেই সমাহিত করা হয়।

লেখক- সাজেদ রহমান




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: