মনিরামপুরে অতি বৃষ্টিতে কৃষকের লাভের আশা বাদ, শঙ্কা খাবার নিয়েই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৩

ছবি সমসাময়িক

মোঃ আরিফুল ইসলাম, মনিরামপুর।।

মাঠে চলছিল পাকা আমন ধান কাটার কাজ। বেশীরভাগ কাটা ধান ছিল জমিতেই। যুগ যুগ ধরে কৃষকরা এভাবেই ধান কাটে। পর্যায়ক্রমে কাটা ধান তারা ঘরে তোলে। এই সময়টুকু রোদে ধানগাছ সামান্য শুকিয়ে গেলে মাড়াই করার উপযোগী হয়ে ওঠে। টানা বৃষ্টি আমন চাষিদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। কাটার পর যে ধান জমিতে ছিল তার সবই ভেসে গেছে। আর যেগুলো কাটার অপেক্ষায় ছিল তা নুয়ে পড়েছে। কৃষক তাদের পাকা ধান কাটার শেষ মুহ‚র্তের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তারা এখন চিন্তিত কীভাবে সারা বছরের খাবার ঘরে তুলবেন। ‘জাওয়াদ’র প্রভাবে অসময়ের এই বৃষ্টিপাত বিশেষ করে কৃষি-খামার সেক্টরে সর্বনাশ ডেকে এনেছে।মনিরামপুর উপজেলার কৃষকেরা এখন বিপাকে রয়েছে এক ধান দুই বার কাটা লাগছে আবার কারোও ধান মাঠেই পচে গেছে, কারোও ধনে চাড়া বের হয়েগেছে, আবার কেও কেও এই ধান মাঠের কাছে পাঁকা রাস্তায় উঠিছে। কৃষকের এই কষ্ট দেখার মত নাই। ধান কেটে শুকানোর পরে ধান বাড়ি নিয়ে আসে আর এ ধান মাড়াই করে কৃষক তাদের যে খরচ হয় সে গুলা শোধ করে, কিন্তু এবার তা আর হবো না কারণ এক জন কৃষকের ১ বিঘা জমিতে যে টাকা খরচ হয় এখন তার দিগুণ লাগছে তাও ধান আগের মত আর হবে না। মনিরামপুর বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখলাম যে অধিকাংশ ধান কৃষক কেটেছে, খেদাপাড়া দেখা গেল অনেক কৃষক ধান মাথাই করে রাস্তায় উঠিছে,এর সাথে সেখানেই শুখাচ্ছে,কাশিমনগর ইউনিয়নে এক ধান দুইবার কাটা লাগছে, রহিতা, ভোজগাতী, ঢাকুড়িয়া,ঝাপায় একি ঘটনা। যে কৃষকের মুখে ধান কাটার পরে হাসি ধাকার কথা কিন্তু এখন তার বিপরীত কৃষকের দুঃখের শেষ নাই।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: