মনিরামপুরে নির্বাচিত ইউপি সদস্য মেম্বর সোহরাব হোসেনের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৯

ছবি সমসাময়িক

মণিরামপুর প্রতিনিধি।।

মনিরামপুরের ১৬নং নেহালপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মেম্বর সোহরাব হোসেনের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। পরাজিত প্রার্থী আবদুস সালামের কর্মী সমর্থকদের হামলায় সোহরাব হোসেন আহত হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নেহালপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোহরাবকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওই রাতেই প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সালামকে আটক করে। জানাযায়, ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য প্রার্থী হন মোট ৩ জন। এতে সোহরাব হোসেন তালা প্রতিকে ৪৪৬ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুস সালাম গাজী মোরগ প্রতিকে ভোট পান ৪৩১। বিজয়ী সোহরাব হোসেনের অভিযোগ বৃহস্পতিবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সালামের লোকজন নির্বাচনের একটি ভূয়া রেজালশিট দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। ওই ভূয়া (কাটাকাটি) রেজালশিটে সালাম গাজীর নামে ৭৪৯ ভোট এবং সোহরাব হোসেনের নামে ১২১ ভোট উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তবে প্রিজাইডিং অফিসার মোকাম উদ্দিন কাটাকাটি করা এ ফলাফল শিট সঠিক নয় বলে দাবি করেন। এ দিকে বিজয়ী প্রার্থী সোহরাব হোসেনের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল যোগে নেহালপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুস সালামের সমর্থক হাসান মোল্যার নেতৃত্বে কয়েকজন গতিরোধ করে তার ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এতে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রাত ৯টার দিকে পুলিশ আবদুস সালামকে আটক করে নেহালপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামান জানান, রাত ১১ টার দিকে সোহরাব হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এসে আবদুস সালামকে মুক্ত করে নিয়ে যান। আবদুস সালাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ করেন,সোহরাব হোসেন প্রথমে তার কর্মী হাসান মোল্যার সাথে অশালীন আচরন করেন। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হাতাহাতি হয়। এ দিকে হামলার ঘটনায় মেম্বর সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে ওই রাতেই আবদুস সালামের সমর্থক হাসান মোল্যা, শফিয়ার রহমান, মোক্তার গাজী ও গোলাম মোল্যার নামে থানায় অভিযোগ করেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: