
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। ‘আমাগে গ্রামখান শান্তির গ্রাম। সবাই একসঙ্গে থাকি। কোনো ঝগড়া, মারামারি কিছু নাই, কিন্তু এবার ভোট এসে আমাগে ঘর-বাড়ি ভাঙ্গে দিলো। তারপর থেকে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন কি হয়। তা ছাড়া আমাগে ইউনিয়নে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। একদিকে মারামারি-ঘর ভাঙ্গাভাঙ্গি, অন্যদিকে দা, লাঠি উদ্ধার। সবমিলে এক আতঙ্কের মধ্যি বাস করতেছি। এমনি অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের গৃহবধূ শারমিন খাতুন।
গত ২৮ নভেম্বর মণিরামপুরের শ্যামকুড় ইউপি নির্বাচনী জেরে বসতবাড়িতে হামলা, ভোট কেন্দ্রে বোমা হামলা ও ভাংচুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ উঠেছে, আমিনপুর ওয়ার্ডে আঃ বারী টিউবয়েল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। এ নির্বাচনী জের ধরে প্রতিবেশী একই ওয়ার্ডে লাটিম প্রতিকের প্রার্থী ইকবল হোসেনের পক্ষে শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে প্রার্থী ইকবল ও সমর্থক রাসেল বাবুর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ঘরের দরজা, চালের টালি, টেলিভিশন ও সকেজ ভাংচুর করিয়া চলিয়ে যায়।
এদিকে, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ঘটানোর জন্য গত ১লা ডিসেম্বর চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন পুরাতন টায়ারের স্তুপ থেকে ৩টি দা, ৩টি হকিস্টিক, ৪টি জিআই পাইপ ও ৭টি ককটেল উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া অত্র শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন চরম আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা রাসেল বাবু বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করে। এসময় আমি বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বর্তমানে আমি আমার পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করিতেছি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের দু-দৃষ্টি কামনা করছি।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, কোন ধরনের অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ যদি অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: