শিতের শুরুতেই ফকিরহাটে জমে উঠেছে "মা" পিঠাঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১৩

ছবি সমসাময়িক
মোঃ‌ মানছুর রহমান (জাহিদ)।। শিতের শুরুতেই বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে জমে উঠেছে "মা" পিঠাঘর।পাশাপাশি ৪ টি চুলায় আগুন জ্বলছে। কোন চুলায় মিষ্টি কুশলী, কোন চুলায় ঝাল কুশলী, আবার একটি চুলায় কুলি পিঠা, অন্যগুলোতে শেয়াই পিঠা, তেল পিঠা, চালের ঝাল পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। গরম পিঠার স্বাদ নিতে অপেক্ষা করছেন পিঠাপ্রেমীরা।শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে ফকিরহাটের বিশ্বরোড মোড়ে জমে উঠেছে রবিউল ইসলাম রবির "মা" (পিঠাঘর)পিঠার দোকান।ফকিরহাট উপজেলার বিশ্বরোড় মোড়ে সড়কের পাশে মা পিঠাঘরে পিঠার পশরা নিয়ে বসেন রবিউল ইসলাম রবি সহ তার সহযোগীরা।মা পিঠা ঘরের সুনাম এখন ফকিরহাট জুড়ে। গরম পিঠা খেতে পিঠাপ্রেমীরা বিকেল থেকে ভিড় করতে থাকে মা পিঠা ঘরের দোকানে। সন্ধ্যা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং হোটেলে বসে পিঠা কিনতে থাকেন পিঠাপ্রেমীরা।ফকিরহাট শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন নানা ধরনের খাবারের দোকান থাকলেও মা পিঠা ঘরের দোকানের পিঠার চাহিদা বেশি। সকল বয়সের নারী পুরুষ শিশুরা গরম গরম পিঠা খেতে আসে। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় পিঠার কদর বেশি বলে মনে করেন পিঠা প্রেমীরা।মা পিঠা ঘরের দোকানে শিয়াই পিঠা এবং হাসের মাংস অনেক সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। মা পিঠা ঘরের পিঠার দোকানে পিঠা খেতে খেতে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে। ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পিঠাপ্রেমি শেখ ফারুক হোসেন জানান, কাজের ফাঁকে সময় পেলেই সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ছুটে আসেন এই দোকানে। নিজের খাওয়া শেষ হলে পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যান তিনি। ওই দোকানের এক কর্মচারী জানান, শীত আসতেই দোকানে কাজের চাপ অনেক। পিঠা বানানো থেকে সব কিছু করতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। জানা যায়, বিকেল থেকে প্রায় রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকম পিঠা বানানো ও বিক্রি। উল্লেখ্য এই পিঠার দোকানে কাচ্চি বিরয়ানি,চিকেন বিরিয়ানি, চটপটি,ফুসকা,হালিম,ফালুদা,ফিন্নি,সহ অনেক মজাদার খাবার ও পাওয়া যায়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: