অবৈধ স্থাপনার কারণে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখন মরণ-ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৩২

ছবি সমসাময়িক

শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি।।

যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক বহুবছর ধরে অবৈধ স্থাপনা মালিকদের দখলে। চরম ভোগান্তিতে লাখলাখ জনসাধারণ। উচ্ছেদের ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ব্যস্ততম বাগআঁচড়া বাজারে অবৈধ স্থাপনার কারণে উন্নয়নের বিন্দুমাত্র ছোয়া লাগেনি। এখানে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। অবৈধ স্থাপনার জন্য বিদ্যুতের খু্ঁটি গুলো দেওয়া হয়েছে রাস্তার মধ্যস্থানে। পথচারীদের চলাচলের জন্য নেই কোন আলাদা ফুটপথ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মালামাল রেখে অবৈধ দখলে নিয়েছে মহাসড়কের দুইপাশে পথচারীদের জন্য চলাচলের জায়গাটুকুও। সবসময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহন চালককে। পার্শ্ববর্তী ৩টি উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রামের লাখলাখ জনসাধারণ শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য, মালামাল ক্রয়-বিক্রয়, ঢাকা ও দূরদূরান্তে যাতায়াত সহ নানাবিধ প্রয়োজনে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রি অবধি চলাচল করেন বাগআঁচড়া বাজারে। অত্রাঞ্চলের সর্বোবৃহৎ ১টি প্রাইমারী স্কুল, ২টি মাদ্রাসা, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি কলেজ বাগআঁচড়ায় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠান গুলোতে যাতায়াত করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যানবাহন এবং সাতক্ষীরা হতে ঢাকা-রাজশাহী-চট্টগ্রাম গামী সকল দূরপাল্লার পরিবহণ সার্বক্ষণিক চলাচল করে এই মহাসড়কে।এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সর্বোবৃহৎ সাতমাইল পশুহাট ও সর্বোবৃহৎ বেলতলা পাইকারি ফল বাজার অত্র এলাকায় মহাসড়কের ধারে অবস্থিত, অত্র ২টি বাজারের পাইকারি ক্রেতারা পশু ও ফল কিনে নিয়ে যায় সারাদেশে। বাগআঁচড়ায় প্রায়শই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারীদের প্রাণ গেলেও যশোর সড়ক ও জনপথ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। বৃহৎ জনস্বার্থের কথা বিবেচনা সাপেক্ষে অত্রাঞ্চলের শান্তিকামী জনসাধারণ অবিলম্বে উক্ত মহাসড়কের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করার জোর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: