পটিয়ার শাহচান্দ আউলিয়ার মাদ্রাসার উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৩:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৩:২০

ছবি সমসাময়িক
সেলিম চৌধুরী, নিজস্ব সংবাদদাতঃ- চট্টগ্রামের পটিয়া ঐতিহ্যবাহী শাহচাঁদ আউলিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও মাহে রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে এক বিশাল জশনে জুলুছের র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় মাদ্রাসার প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পটিয়ার মহাসড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাদ্রাসা মাঠে এসে শেষ হয়। জুলুছে মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও হাজার হাজার সুন্নি জনতা বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপার, শিক্ষক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করে। এ জশনে জুলুছে নেতৃত্ব দেন মাদ্রাসার গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ। জুলুছ শেষে মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত আজিমুশশান ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল বক্তব্য রাখেন কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুখতার আহম্মদ, সাবেক পটিয়া পৌরসভার মেয়র নুরুল ইসলাম, পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল, ছিকন খলিফা দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাফেজ আহম্মদ আল কাদেরী, মির্জা আলী লেদু শাহ দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মাওলানা আবদুল মাবুদ ইসলামাবাদী, কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শহিদুল হক হোসাইনী, মুহাদ্দিস সাইফুদ্দিন খালেদ, শিক্ষক প্রতিনিধি আবদুল মন্নান, হামিদুল হক, আবদুল আজিজ, আকবর হোসেন খতিবী, ক্বারী এনামুল হক, রেজাউল করিম, কুতুব উদ্দীন শাহ নূরী, আবুল কাশেম নূরী, সিনিয়র শিক্ষক মোজাফফর আহম্মদ, নজরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলে, ইসলাম সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। ধর্ম পালনে কেউ বাধাগ্রস্ত হবে না। তাই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ, উপাসনালয় ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে কোনোরূপ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা কোনো মুসলমানের জন্য সমর্থনযোগ্য নয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহকে ছেড়ে যাদের তারা (মূর্তিপূজক) ডাকে, তাদের তোমরা গালি দিও না। তাহলে তারা সীমালংঘন করে অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকেও গালি দেবে।’ (সূরা আনয়াম : ১০৮) অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসূল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা সামর্থ্যবহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায়, তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির প্রতিবাদকারী হবো


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: