
মো: সবুজ হোসেন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীর ঋণ করাসহ ভ্যান ও ছাগল বিক্রয়ের প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে উধাও এক স্বামী। ঘটনাটি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকের কাছে এমন অভিযোগ করেন স্ত্রী নীলা খাতুন (২৩)। তিনি ওই গ্রামের মোকাদ্দেস হোসেনের মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। স্বামী আজিজুল হক স্বজল উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকার মৃত আঃ সামাদের পুত্র। নীলার পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে নীলার সাথে স্বজলের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের এক বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবুও স্বজল গট্টিয়া গ্রামের ঘটকের বিবাহিত মেয়ে ও এক সন্তানের জননী আর্জিনার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বজল নিয়মিতি স্ত্রীর নিকট যৌতুকের দাবি করে এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাচন চালিয়ে আসছে। একপর্যায়ে প্রায় একমাস পূর্বে স্ত্রীর দিয়ে একটি সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। সেই ঋণের টাকাসহ উপার্জনের একমাত্র ভ্যান ও গৃহপালিত ছাগল গুলো বিক্রি করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা আর্জিনাকে নিয়ে উধাও হয়েছে। তারা আরো জানায়, এর আগেও তিনবার স্বজল তাঁর পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছিল। নীলা এখন স্বামীহারা দুই সন্তান নিয়ে বড়ই বিপাকে পড়েছেন। এবিষয়ে নীলা খাতুন বলেন, ' ৫ বছর পূর্বে স্বজলের সাথে বিয়ে হয়। আমাদের দুই সন্তান আছে। তারপরও স্বজল পাশের বাড়ির প্রবাসীর বউ আর্জিনার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। প্রেমের জেরে একমাস পূর্বে ঋণ করা ৩০ হাজার টাকাসহ ভ্যান ও ছাগল বিক্রয়ের প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।' নীলার বাবা মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ' এখন স্বজলের কাছে ফোন করলে খুব বকাবকি করছে। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকের জন্য ব্যাপক মারপিট করে আসছে মেয়েকে। এরআগে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছি।' এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল হক স্বজলকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ' এঘটনায় লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: