
বিশেষ প্রতিনিধি: সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ অভয়নগর শাখা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম বাবু ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের বিভাগীয় প্রধান রমজান হোসেন রিকি’র স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সংগঠনের প্যাডে বহিস্কারাদেশ গণমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় একটি কুচক্রী মহল যা নিয়ে অভয়নগরে চলছে নানা গুঞ্জন।
জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহঃবার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গুয়াখোলা গ্রামে শাহীমোড় নামক এক হোটেল ব্যবসায়ী আরিফের নিকট থেকে ৫০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ অভয়নগর শাখার সাঃ সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের সদস্য মোঃ মশিয়ার রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বাবুকে গণ ধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের বিভাগীয় প্রধান রমজান হোসেন রিকি উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার উদ্দিনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সভাপতিও বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষরিত একটি বহিস্কারাদেশ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, সংগঠনের নিয়ম শৃংঙ্খলা একাধিক বার ভংগের অপরাধে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। তবে চাঁদাবাজির ঘটনার অভিযুক্ত মশিয়ারকে বাদ দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ অভয়নগর শাখা কমিটির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বাবু ও দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে বহিস্কারের আদেশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যে ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনের মোটেই সম্পৃক্ত নন।
এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বহিস্কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান রমজান হোসেন রিকি বলেন, আমি চাঁদাবাজির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছি। তবে আমি কাউকে বহিস্কারের আদেশ দিইনি। বহিস্কারাদেশে আমার যে স্বাক্ষর রয়েছে তা জালিয়াতি করা হয়েছে। স্বাক্ষর জালিয়াতি দন্ডনীয় অপরাধ। আমি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: