
নিজস্ব সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়ন থেকে দেশীয় দুইটি অস্ত্র, ৪০০ লিটার চোলাই মদ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করার ঘটনায় ১ মাস ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের নানান অভিযোগ।
গত ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুলাল পাড়া এলাকার পুকুর পাড় থেকে এগুলো উদ্ধার করে।এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাইদগাঁও এলাকার শফিকুর রহমানের পুত্র নেজাম উদ্দীন ও কুতুব উদ্দীন ও কেলিশহর ইউনিয়ন কুলাল পাড়া এলাকার ইউনুছের পুত্র মো. আনোয়ার পাহাড়ি পথে মদ এনে এলাকায় পাইকারী ও খুচরায় বিক্রি করে আসছিল। ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় থেকে কুলাল পাড়া দিয়ে কেলিশহর ভট্ট্যাচ্যার্য্য হাটে মদ নিয়ে আসার সময় এলাকার সাধারণ জনগন তাদের কে ধাওয়া করলে তাঁরা অস্ত্র ও চোলাই মদ গুলি রেখে পালিয়ে যায়। এসময় পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, একটি দেশীয় বন্দুক, দুইটি কিরিস, একটি মোটরসাইকেল ও ৪০০ লিটার মদ উদ্ধার করে।এদিকে ২৩ জুলাই শুক্রবার দুপুরে কেলিশহর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড এলাকার একটি পুকুর পাড়ে মো. আনোয়ার মদ বিক্রি করার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে ১০ লিটার মদ রেখে পালিয়ে যায় মদ ব্যবসায়ী আনোয়ার ও রুবেল এবং নেজাম।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি মাদক চক্র হাইদগাঁও ও কেলিশহর এলাকায় সিন্ডিকেট করে পাহাড়ি পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ সরবরাহ করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে। সামাজিকভাবে এই মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশ হয়ে যাবে। পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম জানান, পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নে কুলাল পাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে দেশীয় তৈরি দুইটি অস্ত্র ,দুইটি কিরিস, একটি মোটর সাইকেল ও ৪০০ লিটার মদ উদ্ধার করা হয়। ঘটনা তদন্ত চলছে আসামিদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরোও জানান, পটিয়াকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ রাতদিন পরিশ্রম করছে। এসব মাদক অস্ত্র কাদের তাহা শনাক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: