
ফিরোজ মাহমুদ, রংপুর: রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় পুলিশের তালিকা ভুক্ত নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ৯ শ, মাদক ব্যাবসায়ী।উপজেলার সবচেয়ে বেশি রয়েছে বৈরাগীগন্জ এলাকায়।
এছাড়াও শঠিবাড়ী,গড়ের মাথা,আলীপুর নয়ার হাট,শালমারা বাজার,পায়রাবন্দ ভান্জের মোড়,দমদমা বাজারের পচ্চিমে, বলদী পুকুর সহ একাধিক স্থানে মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মাদক নিয়ে স্হানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও প্রসাশনের পক্ষ থেকে জরুরী ভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হলেও সাধারণত মানুষের মাঝে ধারণার পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।গত কয়েক দিন সরেজমিন ঘুরে দেখাগেল অভিনব পন্থায় মাদক এসব এলাকায় মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু মাত্র চিন্তিত মাদক সেবিদের কাছে মাদক বিক্রিও সরবরাহ করেছে তারা। ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে একেক দিন একেক স্থানে বিক্রি করেছে। এছাড়াও প্রতিটি ব্যাবসায়ীর রয়েছে নিজস্ব সোর্স যাঁরা একটু কিছু চোখে পড়ামাত্র সতর্ক করে দিচ্ছে ব্যাবসায়ীকে। ফলে মাদক সহ ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করা বিষয় টি পুলিশের কাছে দূরশাদ্ধ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে।একটি সুত্রে জানায় মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ ইউনিয়ানে প্রায় শীর্ষ ২৬ জনের মত মাদক কারবারী রয়েছে।
এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ২০১৫,সালে দৈনিক যুগের আলোর ষ্টাফ রিপোটার সাংবাদিক মশিউর রহমান উৎসকে মাদক ব্যাবসায়ীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে,যা আদালতে এখনো বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে ।এছাড়াও ২০০৩ সালে পুলিশের সোর্স মোস্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে মাদক ব্যবসায়ীরা। যে হত্যার এখনো কুল কিনারা হয়নি। উপজেলার মাদক নিয়ে স্হানীয় জনগণের দাবি করেন শুধু মাত্র পুলিশের পক্ষে মাদক নির্মুল করা সম্ভব নয়। তাই প্রসাশনের পক্ষ থেকে জরুরী ভাবে প্রতিটি এলাকায় মাদক নির্মুল কমিটি গঠন করে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: