ঝিকরগাছায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ তার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টাঃ থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৯

ছবি সমসাময়িক

মোঃ রাকিব হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি।।

যশোরের ঝিগরগাছা বাঁকড়া ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ড খোশালনগর গ্রামের আবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যার চেষ্টায় মারাপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাঁকড়া খোশালনগর গ্রামের মৃত আব্দুর বাকী দফাদারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে গত ৩০ আগষ্ট-২১ তারিখে ঝিকরগাছা থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামীরা হলো,ঝিকরগাছা খোলশনগর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম,আনসার আলী গাইনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কিতাব আলী,মৃত ইবাদ আলীর ছেলে মোসলেম মেম্বর, মুত ছবেদ আলী গাইনের ছেলে আনসার আলী গাইন,মৃত আজিবুল্লার ছেলে মনুমিয়। অভিযোগে জানাযায়,যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন ১৫৮ খোশালনগর মৌজায় বাদির ভোগ দখলীয় ২৮.৭৫ শতাংশ জমির মধ্যে ২৫ শতাংশ জমি সৃতি রানীর নিকট বিক্রয় করে। যার হাল দাগ নং ৮২৬ ও ৮২৮ খতিয়ান নং ৭৭০। কিন্তু বিবাদীরা প্রায় সময় জনৈক সৃতি রানীকে তার নিকট থেকে জমি ক্রয় করার কারণে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলো। এ নিয়ে সৃতি রানী বাদিকে তার ক্রয়কৃত জমি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলে। এমতাবস্থায় গত ৩০ আগষ্ট-২১ তারিখ সার্ভেয়ার দ্বারা জমি মাপ করার প্রাকাল সকাল অনুমান ১০ টা ৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা,পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠিসোঠাসহ সজ্জিত হয়ে বাদির ভোগদখলীয় খোশালনগর মৌজায় ৮২৬ নং দাগের জমিতে অবৈধ ভাবে অনধিকার প্রবেশ করে বাদিকে সার্ভেয়ার দ্বারা জমি মাপ করতে বাধা সৃষ্টি করে। এবং অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন বাদি বিবাদীদের এহেন কার্যকলাপ করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করায় ৩ নং বিবাদীর হুমকিকে অনন্য বিবাদীগণ আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি সোঠা দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফোলা জখম করে। বাদি অভিযোগে আরো বলেন, মারপিটের এক পর্যায়ে ২ নং বিবাদীরর হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার পিছনে সজোরে কোপ মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় ১ নং বিবাদী আঘাতের ফলে আমি মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে আমার স্ত্রী মোছাঃ ফিরোজা খাতুন (৪২) ঠেকাইতে আসিলে বিবাদীদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফোলা বেদনাদায়ক জখম করে। তখন ৪ নং বিবাদী আমার স্ত্রীর কনুইয়ের উপরে বাঁশের লাঠি দিয়া আঘাত করিয়া হাড় ভাঙ্গা জখম করে। সকালে বিবাদীরা আমার স্ত্রী পরিহিত কাপড়চোপড় টানা হেঁচড়া করিয়া বেআব্রু করিয়া ফেলায়। তখন আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমার ও আমার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে জীবন নাশেের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় আক্তারুজ্জামান ও শাকিব আমার ও আমার স্ত্রীকে মোটরসাইকেল যোগে চিকিৎসার জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়া গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের চিকিৎসা প্রদান করেন। এবং আমার মাথায় ৪ টি সেলাই দেন। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের ভর্তি না করিয়া ছাড়পত্র প্রদান করেন। উল্লেখ্য, যে বিবাদীরা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খুন জখম করিতে পারে। এমন মর্মে আমি আশাংকা করিতেছি। এ বিষয়ে ভুক্তোভোগীসহ তার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: