
ছবি সমসাময়িক
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।
করোনার কারণে বাতিল হওয়া ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফিসের নির্ধারিত অংশ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেয় শিক্ষাবোর্ড। বিভিন্ন কলেজ ইতোমধ্যে টাকা ফেরত দিলেও মণিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ দেননি বলে অভিযোগ। কলেজ অধ্যক্ষ অবশ্য বলছেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক; হিসাব-নিকাশ করে দিতে দেরি হচ্ছে। ১৫ আগস্ট থেকে টাকা পেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা জানান, মণিরামপুর সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থীরা ঈদের আগে টাকা পেয়ে গেছে। কিন্তু তাদের কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মণিরামপুর সরকারি কলেজ, মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজ, রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও বালিয়াডাঙা কলেজসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ঈদের আগে পরীক্ষার্থীদের ডেকে টাকা দিয়েছে। বালিয়াডাঙা কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘বোর্ডের নির্দেশনা পেয়ে ঈদের আগে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর টাকা দিয়েছি। কিছু বাকি আছে। তারা সুযোগ সুবিধামতো কলেজে এসে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।’ মণিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের হিসবারক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, গেল বছর কলেজের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার ৩৫৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফিস জমা দিয়েছেন। করোনার কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি পরীক্ষার্থীকে এক হাজার ৬৫ টাকা, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার প্রতি পরীক্ষার্থীকে ৭৪০-৮৪৫ টাকা এবং এক বিষয়ে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০০ টাকা করে ফেরত দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই লাখ ৭১ হাজার ৩৯৫ টাকা ফেরত দিতে হবে। যশোর শিক্ষাবোর্ড ইতোমধ্যে এক লাখ ৩৬ হাজার ১৪০ টাকা ফেরত দিয়েছে। আমাদের কলেজ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৫৫ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের কারণে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব হচ্ছে।’ কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক পরীক্ষার্থী। কাগজপত্র প্রস্তুত করতে দেরি হচ্ছে। ১৫ আগস্ট থেকে টাকা দেওয়া শুরু করবো।’ কলেজের সভাপতি মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অধ্যক্ষর সাথে কথা বলছি। পরীক্ষার্থীরা যেন দ্রুত টাকা ফেরত পায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

undefined
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: