
তানজিল আহমেদ রনি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি।।
আজ বেলা ৩ টার সময় দোস্তগ্রামের মৃত মীর মোবারক আলীর ছেলে কাতার প্রবাসী মো.কদম আলী উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি প্রায় ৮ বছর যাবত কাতারে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে গাড়ি চালক হিসাবে কর্মরত আছেন। বিগত ১ বছর পূর্বে দর্শনা পৌর এলাকার আলাল শেখের ছেলে জুয়েলকে তিনি কাতারে নিয়ে একটি সাপ্লাই কোম্পানীতে লেবারের চাকুরী পাইয়ে দেন। সেখানে সে তার মেয়াদকাল পূর্ন হওয়ার ৩ মাস আগেই পালিয়ে যেয়ে কাতারের অন্য একটি শহরে নিজেই বিভিন্ন কোম্পানীতে মালামাল সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করে। এভাবে সে কাজ করাকালীন সময়ে সেখানকার ২ টি দোকানে সাড়ে ৪ লাখ এবং সেখানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ধার নেয়া ৬ লক্ষাধীক টাকা (বাংলাদেশী মুদ্রায়) পরিশোধ না করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ অবস্থায় জুয়েলের পাওনাদারগন তার কাছে এসে জুয়েলকে ধরে দিতে বলে না হলে পাওনা টাকা তাকে পরিশোধ করতে হবে বলে হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় তিনি বহু খোজাখুজি করে একপর্যাযে জানতে পারেন জুয়েল দেশে পালিয়ে এসেছে। ফলে বাধ্য হয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে জুয়েলের সাথে দেখা করে সেখানকার ঘটনা তাকে জানালে জুয়েল প্রথমে সেটি অস্বীকার করে। এর কয়েকদিন পরে জুয়েল তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এমতাবস্থায় তিনি চরম আতংকের মাঝে দিনাতিপাত করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: