টানা লকডাউনে ভালো নেই রংপুরের নিন্ম আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১ ১৬:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১ ১৬:৫৫

ছবি সমসাময়িক

ফিরোজ মাহমুদ, রংপুর বিভাগীয় ব্যাুরো প্রধান।।

মহামারী করোনা ভাইরাস ( কোভিড ১৯) শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নিচ্ছেনা সেই সাথে কেড়ে নিচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের রুটি, রুজি রোজগার করার উপায়ও।সমগ্র বিশ্বের চলমান কর্ম যেমন আজ মহামারী করোনা ভাইরাস থামিয়ে দিয়েছে, তেমনি তার আঁচড় বাংলাদেশ তথা রংপুর অঞ্চলেও পড়েছে। এই অঞ্চলের কঠোর পরিশ্রম করা মানুষ গুলো আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছে থমকে দাঁড়িয়েছে সবকিছু।লকডাউনের কারণে কর্ম করতে পারেনা তারা।এসব নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে একটাই কথা মানুষের হাত,পা বেঁধে রাখা যায় কিন্তু ক্ষুধা বেঁধে রাখা যায় না।ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য মানুষকে কোনো না কোনো কর্ম করতে হয়।কিন্তু করোনা ভাইরাসের কঠোর লকডাউন এর কারনে কাজ করতে পারছিনা আমরা। সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী দেয়া হয়েছে কর্মের সময়সীমা যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মেনে চলা সম্ভব নয়।বেঁধে দেওয়া সমায় সীমার মধ্যে রয়েছে ব্যাবসায়ীরাও তার ভিতরে আবার বেচা বিক্রী নেই। এরই প্রকোপ পরেছে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের উপরেও।রংপুরের বিভিন্ন বাজারঘাট ঘুরে দেখাগেছে ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা।বদর গন্জ রোডের কাঁচামালের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী রফিককে জিজ্ঞেস করা হলো আপনার ব্যাবসার কি অবস্থা করোনার ভিতরে? তিনি এক দীর্ঘ লম্বাশ্বাস ছেড়ে বললেন বাবা ব্যাবসার অবস্থা খুবই খারাপ। তারপরও পেটের দ্বায়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে আসছি।নইলে খাবো কি।আমার পরিবারে ৫ জন সদস্য সবাইকে আমার দেখতে হয়।তার ভিতরে আবার অসুখ বিসুখ তো আছে। করোনার আগে আল্লায় ভালোই রাখছিল দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকাও কামাই করছি, আর এখন আবার সরকার করোনার কারনে বেচা বিক্রীর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাই কোনদিন ১০০ ও হয় আবার কোনদিন ২০০ হয়।বাবা আমার এ্যালা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। একই কথা বলেছেন পাশের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আমির মিয়া।জানিনা বাবা করোনা দেশ থাকি কুনদিন যাইবে আর আমরা আবার কবে ঠিক মত বেচা কিনা কইরবার পামো।সচেতন মহল মনে করছে করোনার কারণে রংপুর অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি স্হানীয় বিত্তবান ও দানশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা জরুরী হয়ে পড়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: