
মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ), খুলনা ব্যুরো।।
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুকুর খনন ও সিঁড়ি নির্মান কাজে অনিয়ম ও দুরদর্শিতার অভাবের অভিযোগ প্রমানিত হলো মাত্র দেড় মাসে। কাজ শেষ না হতেই বর্ষার স্পর্শে পুকরের পাড়ের বড় অংশ ফাটল ধরে ধ্বস নেমে পড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ প্রান্তে দীর্ঘদিনের পুকুরটি মজে, চার পাশের পাড় ভেঙ্গে ও সিঁড়ি নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপযোগি হতে বসেছিল। পুকুরের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের গা ঘেঁষে উপজেলা পরিষদের যাতয়াতের প্রধান সড়ক অবস্থিত। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর “সারাদেশে পুকুর ও খাল খনন প্রকল্প” এর আওতায় পুকুরটি খনন, পাড় বাঁধা ও সিঁড়ি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ সম্পন্ন করা হলেও কাজের স্থানে কাজের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন না করা, পুকুরের পাড়ের বস্তি (স্থায়ী) ও পুকুরের মাটি কেটে এমন ভাবে পাড়ে ফেলানো হয় যে, রাস্তার পিচের কাজের গা থেকে মাত্র ৩/৪ ফুট পরেই পাড়ের ঢালাই শুরু করে দীর্ঘ ১৫/১৬ হাত পর্যন্ত তলা পর্যন্ত স্লোব নেওয়া হয়। সাধারণ সড়কের পাশে ৪/৫ ফুট গর্তের কারনে যেখানে প্যানাপাইলিং ব্যবস্থা করা হয় সেখানে গুরুত্ব পূর্ণ সড়কের পাশে ১৫/১৬ হাত গর্তের সৃষ্টি করে প্যানাপাইলিং ছাড়াই কিভাবে কাজ করা হলো প্রশ্ন ওঠে। সিঁড়িটি পাড়ের পুরাতন মাটির লেবেলে নির্মান করায় মাটির কাজ করার পর সিড়ির অবস্থান মাটির লেবেলের নিচে চলে যায়। ফলে উপরের পানি পুকুরে নেমে যাওয়া এবং সিড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যতে পরিষদ চত্বর বা পুকুরের পাশে মাটির কাজ করা হলে কয়েক ফুট নীচে চলে যাবে সিঁড়ি। সবদিক বিবেচনা করে কাজের মান ও কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন পত্রিকায় অনিয়ম ও দূরদর্শিতার কারনে বর্ষার শুরুতে পাড়ের মাটি ধ্বসে ও সিড়ির স্থায়ীত্ব নষ্ট হতে পারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এব্যাপারে কাজটি পুনরায় পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছিল সংবাদে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে ঠিকাদার যথারীতি কাজ শেষ করে চলে যান এপ্রিল মাসের শেষে। দেড় মাস না যেতেই ১৪ জুন বৃষ্টির পানি স্পর্শে পুকুরের পূর্ব পাশ, পশ্চিম পাশ ও উত্তর পার্শের পাড়ের বড় অংশের মাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং একদিনের মধ্যে মাটি ধসে পড়েছে। বর্ষা চলতে থাকলে অচিরেই চার পাশের মাটি ফাটল ধরে সম্পূর্ণ পাড়ের মাটি ধসে পুকুরে গিয়ে পড়তে পারে। এক পর্যায়ে পাকা সড়কের পাশের মাটি টান ধরলে সড়কটিও হুমকীগ্রস্ত হতে পারে।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেড় মাস আগে এতদ সংক্রান্ত খবরের গুরুত্ব দিলে আজকের এই পরিণতি দেখতে হতোনা। দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভবিষ্যতে আরও বড় খতির হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবেন এ দাবী এলাকার সচেতন মহলের।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: