
স্টাফ রিপোর্টার।।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ১১ নম্বর চালুয়াহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অতি দ্রুত খাজনা রশিদ বইয়ের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মনিরামপুর উপজেলা ভূমি কমিশনারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কারন গত ২ সপ্তাহ ধরে ভূুমি অফিসে খাজনা আদায়ের রশিদ বই নেই। অনেক জমির মালিকরা খাজনা দেওয়ার জন্য বারবার ভূমি অফিসে এসে খাজনা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনও অভিযোগ রয়েছে কোন কোন ব্যক্তি বিপদে পড়ে জমি বিক্রি করেছে। কিন্তু বিক্রীত জমির খাজনা রশিদ কাটতে না পারায় উক্ত জমি দলিল করে দিতে পারছে না। ফলে জমি বিক্রেতা টাকা পাচ্ছেন না বা বিপদ থেকে মুক্তি হতে পারছেন না। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে অনেকই। অনেকেই বলছে সরকার জমির খাজনা নেওয়া কি বন্ধ করে দিয়েছে ? এমন আলোচনা চলছে ইউনিয়নের সর্বত্রই। আবার অনেকেই বলছে ভূমি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ অফিসে খাজনা বই নেই। এবিষয়ে লক্ষণপুর গ্রামের শামছুল আলম জানান, আমি বিপদে পড়ে জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু জমির খাজনা দিতে না পারায় ওই জমির দলিল করে দিতে পারছিনা। ফলে আমি বিপদ মুক্ত হতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে ভূমি কর্মকর্তা শফিক উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার খাজনা রশিদ প্রায় শেষ, সেই থেকে আমি বার বার আবেদন করছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত খাজনা রশিদ পাইনি। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা ভূমি কমিশনার এর প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভ্যূক্তভোগীরা।
বিষয় টিকে নিয়ে কথা হয় উপজেলা ভূমি কমিশনার পলাশ কুমার দেবনাথ এর সাথে তিনি বলেন রশিদ সংকটের বিষয়ে জেনেছি দ্রুত সমাধানে চেষ্টা করেছি। তবে রশিদ সংকট এটা আমাদের একার সমস্যা না আপনার খোঁজে নিলে জানতে পারবেন অধিকাংশ স্থানে এই সমস্যা বিরাজ করছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: