
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। মায়ের সাথে দেখা করতে স্বামীর বাইকে চড়ে যাচ্ছিল রহিমা খাতুন । কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না তার। পথে মোড় ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে প্রাণ গেল এই কিশোরী বধূর।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এরআগে সকাল নয়টার দিকে দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সে।
রহিমা খাতুন মণিরামপুরের বাহিরঘরিয়া গ্রামের রাশেদ আলীর স্ত্রী। অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া হলেও অসুস্থ বাবার ইচ্ছে পূরণে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল তাকে। মেয়ের বিয়ের একমাস পরে মারা যান বাবা আব্দুল খালেক। তিনি একই উপজেলার ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সকালে স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়িতে ভরতপুরে আসছিলেন রহিমা।
নিহতের জা ফাতেমা খাতুন জানান, সকালে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় রহিমা। দ্রুত তাকে মণিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সোহেল রানা পারভেজ দুর্ঘটনায় গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: