
নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
পৌর নির্বাচনের পূর্বে মণিরামপুর পৌরসভার ৩নং সদর (মণিরামপুর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে বাবুলাল চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এ ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড গঠন করতে চাই। সে জন্য জনপ্রতিনিধি নয়-একজন আদর্শবাণ সেবক হয়ে ওয়ার্ডবাসির সেবা করার মন-মানুষিকতা নিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে চাই। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, আমি ভাল কাজ করে-ভালবাসা নিয়েই মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। ওয়ার্ডবাসি সে সুযোগ আমাকে দিবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছি।’
ওয়ার্ডবাসি সে ওয়াদার প্রতি আস্থা রেখে সদালাপী, সুমিষ্ট ভাষী, একজন পরিছন্ন ও মার্জিত ব্যক্তি হিসেবে যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনতা বাবুলাল চৌধরীকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আর নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণের পরপরই তিনি তার নির্বাচনী ওয়াদাকে বাস্তবায়ন করতে নেমে পড়েছেনে সমাজ উন্নয়নের কাছে। পৌরসভার উন্নয়ন তহবিলের দিকে তাকিয়ে না থেকে তিনি ওয়ার্ডের প্রতিটি সমস্যার যথা সম্ভব সমাধান করার লক্ষে সর্বদা খোজ-খবরসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
তারই অংশ হিসেবে পৌরসভাকে পরিস্কার-পরিছন্ন রাখার জন্য নিজ ওয়ার্ডের ১২টি পয়েন্টে নিজস্ব অর্থায়নে ডাষ্টবিন স্থাপন করেছেন। এতে সাধারণ জনতা বিভিন্ন রকমের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ভাবে না ফেলে এ ডাষ্টবিনে ফেলতে পারবে।
মঙ্গলবার লক-ডাউনের দ্বিতীয় দিনে তিনি ঘরে বসে না থেকে সরকারী বিধিনিষেধ মেনে দিনভর পৌর এলাকার সর্বস্তরের জনতা ও বাইরে থেকে আগত জনগণকে সচেতন করাসহ যারা মাস্ক বিহীন জনতার মুখে নিজ হাতে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন। নিজ অর্থায়নে এদিন তিনি ৫’শ জনের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মামুন-অর-রশিদ জুয়েল, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা সুনীল কুমার রায়, প্রভাষক প্রজিৎ মন্ডলসহ প্রমুখ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: