
মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।।
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ২ নং কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের শ্যামনগড় গ্রামের মৃত মোঃ আনছার আলী গাজীর পুত্র মোঃ আসাদুল ইসলাম গাজী (৩৮) দীর্ঘ ৭/৮মাস যাবত মেরুদণ্ড,কিডনি ও রক্তের সমস্যা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় অসহায় অবস্থায় রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, আসাদুল গাজী তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পরিবারের মোট সদস্যসংখ্যা চারজন। পরিবারের মধ্যে বড় ছেলে মোঃ রাশেদুল গাজী(১৮)। ছোট ছেলে মোঃ রিয়াজুল গাজী (১০) ও স্ত্রীকে নিয়েই তার সংসার।বড় ছেলে রাশেদুল গাজী বর্তমানে দশম শ্রেণীর ছাত্র হইতেছে। এই পরিবারের সকল ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় আসাদুল গাজীকেই। অথচ এই পরিবারের মূলখুটি আসাদুল গাজী নিজেই মৃত্যু পথের যাত্রী। তার এই রোগের কারণে ইতিমধ্যে ভিটেমাটি বিক্রিসহ আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পরে বর্তমানে সে রাস্তায় এসে বাঁচার তাগিদে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। অসহায় আসাদুল গাজী বলেন, আমি আমার জন্য বাঁচতে চাইনা, আমি বাঁচতে চাই আমার দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। ভাবলে আমার বুকটা ফেটে যায় এই দুনিয়া থেকে চলে গেলে আমার দুই সন্তান এতিম হয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরবে। তাই আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাকাটি করি মহান আল্লাহতালা যেনো আমাকে আর কয়েকটা বছর বাঁচিয়ে রাখে আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য। তিনি আরো বলেন, আমি বিগত ৭/৮ বছর যাবত পরিবারদের নিয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছি, অথচ আজ থেকে বিগত দিনে আমার ভাগ্যে মিলেনি সরকারি কোন অনুদান। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে হাত বাড়িয়ে সাহায্য গ্রহণ করে কোন রকমে সংসারটাকে চালিয়ে নিচ্ছি। অথচ আমার রোগটি ধীরে ধীরে আমাকে তিলে তিলে খেয়ে ফেলছে অর্থের অভাবে না পারছি চিকিৎসা করতে, না পারছি কোন একটা কর্ম করতে আবার না পারছি সংসারটাকে ঠিকমত চালাতে, তার মধ্যে না পারছি বড় ছেলেটির লেখাপড়ার খরচ মেটাতে। বিগত এই ৭/৮ বছরে পাইনি ১০ কেজি চালের কোনো কার্ড। মহামারী নোবেল করোনাভাইরাস এর মধ্যে অন্যান্যদের ন্যায় আমিও একটি মোবাইল সিম ক্রয় করে নিজ ভোটার আইডির ফটোকপি এলাকার ইউপি সদস্যের কাছে জমা দিয়েছিলাম সরকারি ২৫০০ টাকা পাওয়ার আশায়। অথচ এখনও মিলেনি আমার কপালে সেই পঁচিশশত টাকা। কয়েকদিন আগে আমার এলাকার এক ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আমাকে একহাজার টাকা দিয়েছে। বিগত ৭/৮ বছরের মাথায় এই একহাজার টাকা পেয়ে পরিবারদেরনিয়ে ভালো কিছু খাবার খেতে পেরেছি।আজ আমি আমার পরিবারদের নিয়ে অতি দুঃখে কষ্টে, যন্ত্রণায়, অতি অসহায় হয়ে মরণ পণ্য জীবন-যাপন করে আসছি। আমি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমি আমার জন্য নয়, একজন বাবা হয়ে, একজন স্বামী হয়ে, একজন পরিবারের অভিভাবক হয়ে সুন্দর এই দুনিয়ায় বাঁচতে চাই! আমার এই অসহায়ত্বের কথা যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। এবং তাদের কাছে আমার অনুরোধ যেন তাহারা আমার দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলেই হইতো ফিরে আসতে পারে আমার এই অভাবের সংসারে একটু হাসি ও সুস্থ হয়ে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে হয়তো পারবো সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ গড়ে তুলতে। কেহ যদি আমার কথা পর্যালোচনা করে সাহায্যের হাত বাড়াতে ইচ্ছুক হয় তাহলে আমার ০১৯৩২-৬৩৭৫১২(বিকাশ পারসুনাল) নাম্বারে যে যা পারবেন সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: