মনিরামপুরে নিন্মমানের সামগ্রি দিয়ে নির্মানাধীন স্কুল ভবনের সেই দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৫

ছবি সমসাময়িক
  স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন ভবনে নিন্মমানের উপকরন ব্যবহারের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। ফলে উপজেলা প্রকৌশলী পরির্দশন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দাড়িয়ে থেকে নি¤œমানের ইটের তৈরী দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে উন্নতমানের ইটসহ অন্যান্য সামগ্রি দিয়ে পুনরায় গাথুনির নির্দেশনা দেন। এ ছাড়াও কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ঠিকাদার ফয়জুল ইসলামের পরিবর্তে নতুন করে অপর ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। জানাযায়, চলতি অর্থ বছরে ৬১ লাখ নয় হাজার ৫৮২ টাকা ব্যয় নির্ধারনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের(এলজিআরডি) অধিন মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার আহŸান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পান যশোরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স যমুনা প্রোকৌশলী। অভিযোগ রয়েছে নি¤œমানের সামগ্রি দিয়ে এ ভবনটি নির্মান করা হচ্ছিল। এ কারনে ইতিপূর্বে কয়েকবার কাজটি বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। রোববার সকালে উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক এবং উপসহকারি প্রকৌশলী গাউসুল আযম খাটুয়াডাঙ্গায় নির্মানাধীন ভবন পরিদর্শনে যান।এ সময় সেখানে দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, বাজার কমিটির সভাপতি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার সিংহ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী রানী সরকার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। পরির্দশন করে উপজেলা প্রকৌশলী অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দাড়িয়ে থেকে নি¤œমানের ইটের তৈরী দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে উন্নতমানের সামগ্রি দিয়ে পুনরায় গাথুনি এবং সিড়িসহ অন্যান্য ত্রæটি বিচ্যুতি সম্পন্নের(মেরামত) নির্দেশনা দেন। এ ছাড়াও কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ঠিকাদার ফয়জুল ইসলামের পরিবর্তে নতুন করে অপর ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমকে দায়িত্ব দেন। উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক জানান, কোন অবস্থাতেই নি¤œমানের সামগ্রি দিয়ে ভবন নির্মান করতে দেওয়া হবেনা। এ দিকে তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম খলিলসহ এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: