মনিরামপুরে সেচপাম্পের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ৫০৩, পেয়েছে ১৪৮ জন বাকিরা হতাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৩

ছবি সমসাময়িক
স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)।। চলতি বোরো চাষ মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। যশোরের মনিরামপুরে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে ৫০৩ জন চাষী বিদ্যুৎ চালিত স্যালো মেশিনের লাইসেন্স প্রাপ্তীর জন্য আবেদন করেছেন প্রায় বছর খানেক আগে। অথচ এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) থেকে লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১৪৮ টি। এ ক্ষেত্রে বিএডিসির দাবি লোকবল অভাব এবং বিভিন্ন শর্তাবলির কারনে দ্রুত লাইসেন্স সরবরাহ করা যাচ্ছেনা। ফলে লাইসেন্স না পেয়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দেয়া নিয়ে চাষীরা হাতাশগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার জানান, মনিরামপুরে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২৮ হাজার তিন’শ হেক্টর জমি। আর চাষের মৌসুম শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বর মাস থেকে এবং তা শেষ হবে ফেব্রুরারি মাসের মাঝ পর্যন্ত। আর এসব ক্ষেতে সেচের জন্য কয়েকমাসের ব্যবধানে ৫০৩ জন চাষী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)এর কাছ থেকে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো মেশিনের লাইসেন্স প্রাপ্তীর আবেদন করেন। বিএডিসির উপসহকারি প্রকৌশলী অন্ত সাহা জানান, মনিরামপুরে এ পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে মাত্র ১৪৮ জনকে। বাকীদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সরেজমিন তদন্ত চলছে। লাইসেন্স প্রাপ্তীতে দীর্ঘসূত্রীতার কারনে চাষীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পৌরশহরের বিজয়রামপুরে তার ক্ষেতে স্যালো মেশিন স্থাপন করা হয়েছে অনেক আগেই। আবেদন করেও এখনও তিনি লাইসেন্স পাননি। লাইসেন্স প্রাপ্তীর পর বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আবার কত সময় লাগবে তা নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। একই অভিযাগ করেন শ্যামকুড়ের মুজগন্নি গ্রামের চাষী আবদুল করিম, লাউড়ী গ্রামের আবদুল মান্নান, চালকিডাঙ্গার আকবর আলী, লক্ষনপুরের শাহিনুর রহমানসহ অধিকাংশ চাষী। ফলে লাইসেন্স প্রাপ্তীতে দীর্ঘসূত্রীতার কারনে বোরো ক্ষেতে সেচ দেওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)এর মনিরামপুর নির্মান ইউনিটের উপসহকারি প্রকৌশলী অন্তু সাহা জানান, মনিরামপুর এবং কেশবপুর উপজেলায় বিএডিসির রয়েছেন তিনি এবং একজন কার্য্যসহকারি। এছাড়াও তিনি দাবি করেন গ্রাহকদের স্বার্থে আকতারুজ্জামান নামে একজন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। তিনি জানান, লোকবল সঙ্কট এবং বিভিন্ন শর্তাবলির কারনে লাইসেন্স প্রাপ্তীতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা এবং শার্শা উপজেলার দায়িত্বে থাকা সহকারি প্রকৌশলী সোহেল রানা একই দাবি করে জানান, আরো লোকবল পোষ্টিংয়ের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হবে। উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স প্রদানের জন্য।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: