
কেশবপুর প্রতিনিধি।।
কেশবপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় ইটভাটার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রকৃত জমির মালিকগণ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ফকির চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাসসহ অন্য মালিকগণের কেশবপুর গৌরীঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি গ্রামে প্রায় ১৫ একর জমি ২০১২ সালে ডুমুরিয়া উপজেলার শাহাপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শাকিল আমিনকে মেসার্স আকিব ব্রিকস করার জন্য ডিড করে দেয়।
শাকিল আমিন ভাটাটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে ওই ডিড বুনিয়াদে বেতাগী উপজেলার হাই স্কুল রোড এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে ইমদাদুল হক সোহেল ও রাজাপুর উপজেলার পালট গ্রামের মৃত শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে মারুফ হোসেনের নিকট হস্তান্তর করেন। তাঁরা এমটিসিবি নামে ভাটাটি পরিচালনা করতে থাকেন। তাঁরাও ভাটাটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে ২০১৬ সালে কেশবপুর উপজেলার আগরহাঁটি গ্রামের শিমুল কুমার বিশ্বাস (আমাকে), অসীম কুমার দে ও হাতেম আলী খার ছেলে লিয়াকত আলী খার নিকট হস্তান্তর করেন। ওই অসীম কুমার দে ও হাতেম আলী খা যোগ সাজসে শিমুল বিশ্বাসকে মালিকানা অংশ থেকে বাদ দিয়ে অসীম কুমার দে নিজে একক মালিকানা দাবি করেন। ২০১৯ ওই ভাটাটি খুলনার খালিশপুরের রশিদ মিয়ার ছেলে হুমায়ূন কবিরের নিকট পূর্বের চুক্তিপত্র অনুযায়ী হস্তান্তর করেন। হুমায়ূন কবির ভাটাটি বর্তমানে হামজা ব্রিকস নামে অবৈধ ভাবে পরিচালনা করিতেছেন। যার মেয়াদ ২০২০ সালে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে শিমুল বিশ্বাসের পৈত্রিক ও তার নামে ডিড এবং পাওয়ার অব এটর্নিকৃত জমি নিজ দখলে পাইবার জন্য হাইকোর্টে মামলা করিলে কোর্ট শিমুল বিশ্বাসের পক্ষে রায় প্রদান করেন। এর পরও হামজা ব্রিকসের মালিক অবৈধ ভাবে ভাটাটি পরিচালনা করিতেছেন। সঙ্গে তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিমুল বিশ্বাসের নামে এবং ওই খানকার জমির মালিকদের নামে বিভিন্ন দপ্তরসহ থানায় চহেড়া উপজেলা ফকির চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাস, ফকির চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে শংকার বিশ্বাস, মৃত মশিউর রহমানের ছেলে আমিনুর রহমান, মৃত মশিউর রহমানের ছেলে লুৎফার রহমান, মজিদ গোলদারের ছেলে আজাহরুল ইসলাম, ইমান আলী শেখের ছেলে ইয়াসিন শেখ, নিতাই বিশ্বাসের ছেলে ব্রজেন বিশ্বাস, গনেশ সরকারের ছেলে সনজিত সরকার, আছির গাজীর ছেলে তৈয়বুর রহমান এর নামে মিথ্যা ও চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী অব্যাহত আছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে
প্রকৃত জমির মালিকরা হামজা ব্রিকসের মালিকের মিথ্যা দায়ের করা মামলায় হয়রানী হয়ে বর্তমানে বাড়ি ছাড়া। তাদের হুমকীতে বর্তমানে শিমুলসহ জমির মালিকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমনকি জমির ডিড শেষ হওয়ার পরেও জমি দখলে যেতে পারি নাই। দখলে নিতে গেলে হামজা ব্রিকসের মালিকসহ তার পেটুয়া বাহিনীর লোকদের দ্বারা মারপিটসহ খুন জখমের হুমকীর শিকার হতে হচ্ছে। হামজা ব্রিকস অবৈধ ভাবে পরিচালনার অপরাধে চলতি মাসের ৭ তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেয়। উক্ত ভাটার কোন বৈধ কাগজপত্র ও জমির মালিকের নিকট থেকে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনার ডিড নাই। এহেন ঘটনায় হামজা ব্রিকসের মালিক হুমায়ূন কবিরের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভূক্তভোগী জমির প্রকৃত মালিকগণ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: