
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে চোরের মেশানো চেতনানাশকযুক্ত হলুদের গুঁড়ার তরকারি খেয়ে দুই পরিবারের ১৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে অসুস্থ নয়জনকে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি সাতজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে অসুস্থ হওয়াদের বাড়িতে গরু চুরি করতে এসে শুক্রবার মধ্যরাতে এলাকাবাসীর হাতে দুই চোর ধরা পড়েছে। পরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ধরা পড়া দুইজন হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার রাজার ডুমুরিয়া গ্রামের শাহাজাহানের ছেলে জনি (২২) ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে রাহুল হোসেন (২৬)।
হাসপাতালে ভর্তি নয়জন হলেন, উপজেলার মুন্সিখানপুর গ্রামের মৃত সুজিত ঘোষের স্ত্রী অর্চনা ঘোষ (৬৫), তাদের দুই ছেলে মৃণালকান্তি ঘোষ (৪৫) ও পান্নালাল ঘোষ (৪১), পান্নালাল ঘোষের দুই ছেলে অতনু ঘোষ (১৮) এবং অথৈ ঘোষ (১৩), মৃনাল ঘোষের স্ত্রী রুপা ঘোষ (৪০), তাদের মেয়ে অতসি ঘোষ (১০), উপেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে শম্ভু ঘোষ (৪০) ও অজয় ঘোষের মেয়ে অর্পা ঘোষ (১৫)।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল হালিম বাবু বলেন, শুক্রবার দুপুরের আগে ওই দুই পরিবারের রান্নাঘরে ঢুকে হলুদের গুঁড়ার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয় চোর চক্র। সেই হলুদের গুঁড়ায় তরকারি রান্না হয় দুপুরে। ভাতের সাথে রান্না তরকারি খাওয়ার পরপরই অচেতন হয়ে পড়েন বাড়ির ১৬ জন। বাকি দুইজন বাড়ির বাইরে থাকায় তারা রক্ষা পান। বাইরে থাকা ওই পরিবারের এক গৃহবধূ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে রয়েছেন। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রাত সাড়ে নয়টার দিকে নয়জনকে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেম্বার বলেন, ঘটনাটি রাতেই থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশের পরামর্শে রাতে গ্রামে পাহারা বসে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে গরু নেওয়ার উদ্দেশে চোরেরা ওই বাড়িতে ঢোকে। তখন ধাওয়া দিয়ে গ্রামবাসী দুই চোরকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
এদিকে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দুই চোরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে আনে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পুলিশ তাদের থানা হেহাজতে নেয়।
মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিসানের বরাত দিয়ে ওয়ার্ডবয় আক্তার হোসেন বলেন, অচেতন নয়জন সুস্থ হয়ে আজ (শনিবার) দুপুরে বাড়ি ফিরেছেন।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, এই ঘটনায় আটক দুই চোরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: