
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি॥
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার ডুমুরখালী বাজারের পাঁচটি দোকান আজও গাছের নীচে চাপা পড়ে আছে। বারবার আবেদন জানালেও গাছটি সরানোর কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচটি পরিবার।
গতকাল বিকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, বিগত আম্পান ঝড়ে উপড়ে পড়া বিশাল একটি রেন্টি গাছে চাপা পড়ে আছে পাঁচটি দোকান ঘর। ভেঁঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে গেছে দোকান গুলো। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল মালিক ইকবাল হোসেন কোন রকম কোন ঠাঁসা করে হোটেল চালাচ্ছে। বাদ বাকী আনিছুর রহমান এর মুদি দোকান, আবুল হাসান এর মুদি দোকান, মিজানুরের চায়ের দোকান ও হানিফের চায়ের দোকান গাছের চাপা খেয়ে ভেঙ্গে চুরে পড়ে আছে। ফলে ঐ সকল দোকানদাররা সেই থেকে মানবতায় জীবন যাপন করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল মালিক ইকবাল হোসেন জানায়, গাছটি সরকারী তাই আমরা সরানোর সাহস পাচ্ছিনা। যার কারনে গাছটি সরানোর জন্য অনেক আগেই উপজেলা নির্বাহী অফিসে আবেদন দিয়েছি। এরপর দু-দিন আমি নিজে অফিসে যেয়ে বলেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে আমরা খুব কষ্ঠে দিনাতিপাত করছি। বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান হাতেম আলী বলেন, কেন কোন কারনে গাছটি সরানো হচ্ছেনা। এটা নিয়ে আমরা খুবিই চিন্তিত। কারন পাঁচটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিপদে রয়েছে। আমি আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি গাছটি সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন, গাছটি নিয়ে আমরা অনেক বিপদে আছি। দ্রুত গাছটি কেটে সরানোর প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের খুব কষ্ঠে দিন পার হচ্ছে।
বাজার কমিটির সভাপতি ও হরিহরনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, গাছ সরানোর বিষয়ে আমি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য মহোদয়কে বলেছি। ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন দেওয়া হয়েছে। আজও গাছটি সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই আপনার মাধ্যমে আবেদন জানাচ্ছি যেন দ্রুত গাছটি সরানোর ব্যবস্থা করে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। দিন আনা দিন খাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচটি পরিবারের অতি কষ্টে দিন কাটছে। সেদিক বিবেচনা করে অতিদ্রুত গাছটি সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক এটাই আমার জোর দাবী।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: