
বিশেষ প্রতিনিধি।।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যশোরের মণিরামপুরে আপন চাচার বসতঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাইপোদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে উপজেলার গালদা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা ঘটনার নিরব সাক্ষী হলেও তোপেরমূখে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন। তিনি গালদা গ্রামের মকবুল আহমদের ছেলে। ক্ষতিগ্রস্ত জালাল উদ্দিনসহ স্থানীয়রা জানান, নিজেদের শরিকানা একটি জমি বিক্রি করে তারা সব ভাই মিলে বাড়ির পুকুর ভরাটের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ চালাতে থাকেন। বড়ভাই নূর আলম চৌধুরী বেঁচে না থাকায় তার ছেলেরা মাটি ভরাটের কাজে সম্মতি দেন। জমি বিক্রির সাড়ে তিন লাখ টাকা জালাল উদ্দিনের কাছে ছিল।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার বড় ভাইয়ের তিন ছেলে ইমরান, আল-আমিন ও জাহাঙ্গীর, তিন মেয়ে নাসরিন, কুলসুম ও আকলিমা এবং তাদের মা আমেনা বেগম এসে জালাল উদ্দিন ও তার আরেকভাই জামাল উদ্দিনকে মারপিট করতে থাকেন। দুইপক্ষের মারামারিতে আমেনা বেগম মাথায় আঘাত পান। এইঘটনার রেশ ধরে জালাল উদ্দিনের ভাইপোরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে রোববার রাতে এলাকায় মহড়া দেন। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান জালাল। তাকে না পেয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আলআমিন, ইমরান, জাহাঙ্গীর আবারো দলবল নিয়ে জালালের বসতঘরটি ভেঙে তছনছ করে দেন। ওই সময় তারা লুটপাট চালান বলে অভিযোগ জালাল উদ্দিনের। অভিযুক্তদের মধ্যে আলআমিন বলেন, আমার মাকে মেরে গুরুত্বর আহত করেছেন ছোট চাচা জালাল উদ্দিন। মা মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মাকে মারার কারণে আমরা সকালে চাচাকে ঘরে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন আমরা কয়েকটি টিন ছুড়ে ফেলেছি। এমনিতেই আম্পানে চাচার ঘর ভাঙা ছিল। আমরা কেউ তার ঘরে ঢুকিনি।
স্থানীয় খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মারামারি হয়ে একজনের মাথায় আঘাত লাগতে পারে। এরজন্য বিচার আছে। ক্ষতিগ্রস্থপক্ষ আইনের আশ্রয় নিতে পারত। তারা সেটা না করে একজনের বসতঘর ভেঙে দেবে তা মানা যায় না। মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার সোহেল রানা পারভজ বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যার বাইরে থাকায় অভিযোগে স্বাক্ষর করাতে পারিনি।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সারাদিন আমি থানায় ছিলাম না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: