
প্রদৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.এবিএম আবদুল্লাহ গত কয়েকদিন থেকেই সর্দি-কাশি ও হালকা জ্বরে ভুগছিলেন। সতর্কতা হিসেবে নিয়ম মেনে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিতে আসার সময় তার ব্যাক্তিগত চেম্বারে অনেকেই বলেছিলেন কভিড-১৯ টেস্টটা করাতে। অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কভিড পরীক্ষা করালেন তিনি। এরপর পজেটিভ ধরা পরে। বিকেলেই তাঁকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহর মেয়ে ডা. সাদিয়া সাবাহ, জামাতা ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ রাজন জানান, এখন সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি কিছুটা শারীরিক দূর্বলতাও রয়েছে। তবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো। পুরোপুরি সুস্থতার জন্য তারা পরিবারের পক্ষে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
এই করোনার মধ্যে সঙ্গত কারনেই দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ চিকিৎসকগণ চিকিৎসাসেবা এমনকি ব্যক্তিগত চেম্বার করাও ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ একজন আবদুল্লাহ গায়ে একটা হাফশার্ট জড়িয়ে, শুধু একটা মাস্ক পড়ে করোনা রোগীদের সরাসরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত চেম্বারে মাত্র ৩শ টাকা ভিজিটে আগের মতোই রোগী দেখেছেন। টেলিফোনে প্রতিদিন কতো রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেন সেই হিসেব তো নেই। আর পত্র-পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনে সাদা মনের এই মানুষটির সচেতনতামূলক, প্রাণবন্ত স্বাস্থ্য পরামর্শ পেয়ে সবাই অভিভূত! দল-মত নির্বিশেষে তিনি সবার মনের মনিকোঠায় অবস্থান নিয়ে ফেলেছেন যা আসলেই বিরল।
আমি ডা. এবিএম আবদুল্লাহ স্যারকে অনেকবার বলেছি, আর যাই হোক এই করোনাকালে একটু সাবধান থাকবেন। কিন্তু মানব সেবা-ই যার জীবনের ব্রত তিনি কি এসব কথায় ভয় পান? স্যারের ওই এক কথা, দেখা যাক...
দেশের প্রথিতযশা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ইউজিসি অধ্যাপক, দেশবাসীর শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ স্যারের আশু সুস্থতা তথা করোনামুক্তির জন্য আপনারা সবাই কায়মনোবাক্যে দোয়া করবেন। ডা. সাবাহ গণমাধ্যমকে আরো জানান তার আম্মা অর্থাৎ এবিএম আব্দুল্লাহ স্যারের সহধর্মীনিরও অনেক জ্বর।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: