
কেশবপুর প্রতিনিধি।।
যশোরের কেশবপুর উপজেলাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রতাপপুর ও হাসপাতাল চত্ত্বরে দু’দফা সংঘর্ষে ৪ নারীসহ ৫ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় জরুরি বিভাগে সংঘর্ষে আহত রোগীর সেবা চলাকালে কে বা কারা উগ্র গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ ছুড়ে মারায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্ত্বর থেকে ২ যুবককে আটক করেছে।
এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই ভাই ওহাব আলী ও হযরত আলী বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ওহাব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী রমেছা বেগম (৫২), ছেলে ওবায়দুল্লাহ (৩৪), ওহেদুজ্জামান বাবু (২৬), রজব আলীর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮) ও হযরত আলী বিশ্বাসের স্ত্রী জোহরা খাতুন (৫৫) মারাত্মকভাবে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার সময় দু'পক্ষের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কে বা কারা জরুরি বিভাগের ভেতর উগ্র গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ ছুড়ে মারলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রদীপ্ত চৌধুরি, সহকারি আক্তারুজ্জামান ডালিম ও আমিনুর ইসলামের গায়ে লাগে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক ফজলে রাব্বী হাসপাতালে পৌঁছে হাতাহাতিতে লিপ্ত হওয়া প্রতাপপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে শাহীনুর রহমান (২৩) ও ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে (২৫) আটক করে।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রদীপ্ত চৌধুরী জানান, তরল পদার্থ তার শরীরে লাগার পর মুখমন্ডল ও মাথা জ্বালাযন্ত্রণা করতে থাকে। দ্রুত গোশল করার পর শরীর স্বাভাবিক হয়ে আসে। অন্যরাও গোশল করে স্বাভাবিক হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমী বলেন, উগ্র গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ ছুড়ে মারার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে আটক ওই ২ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: