
পটিয়া পৌর সদরে শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষকের বদলীকৃত স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগ পুনরায় বহাল রেখেছে। সাত শিক্ষক স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে গত ৩০ জুলাই রিভিউ আপিল মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন ফলে মহামান্য হাইকোর্ট পূর্বের দেওয়া আদেশ বহাল রয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইনজীবি আলী ইমরান খালেদ রহিম।
শিক্ষকদের পক্ষে’র আইনজীবি এডভোকেট আলী ইমরান খালেদ রহিম জানান, সরকার পক্ষ গত ৩০ জুলাই তারিখে আপিল নং ২১৯০-এর জন্য ছুটির জন্য দেওয়ানী পিটিশন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের মাননীয় আপিল বিভাগের কাছে দাখিল করে এবং মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের উপর স্থগিতাদেশের জন্য প্রার্থনা করে যা শুনানি করে। ৪৭ নং আইটেমে ৩০ জুলাই মাননীয় আপীল বিভাগের চেম্বারে মাননীয় বিচারক কিন্তু স্থগিতাদেশের কোন আদেশ মঞ্জুর করা হয়নি। তাই মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া আদেশ এখনও বহাল রয়েছে বলে তিনি জানান।
জানাযায়, পটিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্টন থেকে বাদ পড়েন সাত শিক্ষক। তারা হলেন, মৌসুমী দেব, সুমন দাশ, আখতার জাহান চৌধুরী, আকলিমা বেগম, মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন, তাহমিনা আক্তার, শর্মিলা দাশ। ৭ শিক্ষক মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট গত ৫ জুলাই তাদের বদলীর আদেশ স্থগিত করে। এরপর গত ১২ জুলাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিদের্শে তারা তাদের পূর্বে’র কর্মস্থল শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে গত ১৬ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল দায়ে করলে শুনানী শেষে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ও রুলনিশির জবাব না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে পরিচালনা কমিটি’র এক সদস্য ও এক প্রতিবন্ধি শিক্ষিকার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন একযোগে ১৭ শিক্ষককে বদলী করা হয়। এরমধ্যে ৭ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে ৭ শিক্ষকের বদলীর আদেশ স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়কে রুলনিশি জারি করে হাইকোর্ট। বদলী’র কারণে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৭ জন শিক্ষক শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৯ জুলাই যোগদান করেন। তাদের নতুন যোগদান করা প্রধান শিক্ষক দিলুয়ারা বেগম ক্লাস বন্টন করে দেন। কিন্তু বদলী আদেশ স্থগিত হওয়া ৭ শিক্ষক গত ১০ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়ে বসে থেকে খোসগল্প করে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তাদেরকে পাঠদানের জন্য এখনো কোন ক্লাস বন্টন করে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিদ্যালয়ের কোন দাপ্তরিক কাজও তাদের করতে দিচ্ছে না। সরকার পক্ষ গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট চেম্বার জজ আদালত পুনারায় রিভিউ আবেদন করলে আবেদনে খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। বরং সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপিল মামলা খারিজ হলেও রহস্যজনক কারণে ক্লাস বন্টন শ্রেণী শিক্ষার পাঠদানে বিরত রাখা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: