মণিরামপুরে ঝাপা ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্চিত

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ | প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪৭

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪৭

পুলিশি বাধার মূখেও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দফায় দফায় পুলিশি বাধার মূখেও যশোরের মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামছুল হক মন্টুকে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সমর্থিতদের দ্বারা লাঞ্চিতের প্রতিবাদে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সোমবার বিকেলে এ সমাবেশের ডাক দেয়। প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত নেতা-কর্মীরাও পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুপুরের পর থেকেই ইফতারের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, এ্যাসিল্যান্ড আলী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশসহ থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্যে, গত রোববার উপজেলা পরিষদের মিটিং শেষে ফেরার পথে পরিষদ চত্ত্বরে লাঞ্চিতর শিকার হন এই ইউপি চেয়ারম্যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিনই ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে এলাকাবাসি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করে। মিছিল শেষে এক সমাবেশে পরদিন সোমবার রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ফের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু জানান, গত রোববার উপজেলা পরিষদের মিটিং শেষে ফেরার পথে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সমর্থিত যুবলীগের একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ তাকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে উদ্যত হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টুর উপর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার খবর পেয়ে ঝাঁপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার অংঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্র্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ওই দিনই ইফতারের পূর্বমুহুর্তে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে সোমবার বিকেলে ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়ে মাইকিং করা হয়। এরপরই প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত একই দলের আরেকটি অংশ সমাবেশের ডাক দেয়। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে রাজগঞ্জ বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংঘর্ষের আশংকায় সোমবার সকাল থেকেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে, রাজগঞ্জ বাজারে চেয়ারম্যান সমর্থিত কয়েকশ’ নেতা-কর্মী উপস্থিত হলেও প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত উপস্থিত লোকজনের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো ছিল না। এক পর্যায় চেয়ারম্যান সমর্থিত নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশের চেষ্টা করলে দফায় দফায় পুলিশি বাঁধার মূখে পড়ে তারা। তারপরও প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান সমর্থিত নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা কওছার আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিকাইল হোসেন, চাকলাদার আবুল বাশার, বাবুল আক্তার, গৌর কুমার ঘোষ, শহিদুল ইসলাম মিলন, যুবলীগ নেতা শিপন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুকুল, সাধারন সম্পাদক মারুফ আল রাজি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রমেশ দেবনাথ প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়।
মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সেখানে অবস্থান গ্রহন করি।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: